থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি নিষিদ্ধ: জেল ও জরিমানার ঘোষণা
- By Jamini Roy --
- 31 December, 2024
থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে দেশের পরিবেশ ও জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস জানান, “আতশবাজি ও পটকা ফোটালে এক মাসের জেল এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।”
তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, “আতশবাজি ও পটকা শব্দ দূষণ ঘটায় এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এতে হৃদরোগসহ নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয় এবং মৃত্যুও হতে পারে। দেশবাসীকে শব্দ দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, পর্যাপ্ত সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে এবং দিনেরাতে অভিযান চালানো হবে। আতশবাজি ও পটকা বৈধভাবে আমদানি হয় না; এগুলো অবৈধভাবে আনা হয়। তাই এগুলো ব্যবহারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঢাকাবাসীকে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “যত্রতত্র হর্ন বাজানো এবং আতশবাজি ফোটানো থেকে বিরত থাকার জন্য জনসাধারণের সহযোগিতা প্রয়োজন। গত এক সপ্তাহে ১৭২ কেজি অবৈধ আতশবাজি ও পটকা জব্দ করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, “সারা বিশ্বে নির্দিষ্ট স্থানে আতশবাজি প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশেও এমন উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা আছে। আগামী বছর নির্দিষ্ট স্থানে আতশবাজির অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।”
বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় যত্রতত্র আতশবাজি এবং পটকা ফোটানো জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই কারণেই থার্টি ফার্স্ট নাইটের মতো বড় উদযাপনেও এগুলো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও পুলিশ প্রশাসন।
উৎসব ঘিরে কোনো ধরনের হুমকির আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও পুলিশ যৌথভাবে কাজ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের নামে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ ক্ষতির কোনো সুযোগ রাখা হবে না। প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতে ঢাকাসহ সারা দেশে এই নির্দেশনা কার্যকর থাকবে। আইন মানার মাধ্যমে সবাই সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে নতুন বছর উদযাপন করবে, এটাই প্রশাসনের প্রত্যাশা।