ইউক্রেনকে ২৫০০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা যুক্তরাষ্ট্রের
- By Jamini Roy --
- 31 December, 2024
রাশিয়ার চলমান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে সহায়তা প্রদানে আরও ২৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের সামরিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বাইডেন প্রশাসনের বিদায়ী সময়ে এই সহায়তা ইউক্রেনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে প্রদেয় এই সহায়তার মধ্যে রয়েছে আকাশ প্রতিরক্ষার সরঞ্জাম, ড্রোন মোকাবিলার অস্ত্র, উচ্চ সঞ্চরণশীল আর্টিলারি রকেট ব্যবস্থা, ট্যাংক প্রতিরোধী অস্ত্র এবং কামানের গোলাবারুদ। এই সামরিক সরঞ্জাম রাশিয়ার সামরিক চাপ মোকাবিলায় ইউক্রেনের সক্ষমতা আরও বাড়াবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আগামী জানুয়ারিতে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তার আগে বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনকে সহায়তা প্রদানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বাইডেন প্রশাসনের এ পদক্ষেপ ইউক্রেনের প্রতি তাদের অটল সমর্থনের ইঙ্গিত দেয়। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে ইউক্রেনের জন্য সহায়তার মাত্রা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, সোমবার দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে রুশ বাহিনীর ছোঁড়া ২১টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর দাবি, রাশিয়া মোট ৪৩টি ড্রোন ছুঁড়েছিল, যার বেশিরভাগই চেরনিহিভ, নিপ্রোপেট্রোভস্ক, দোনেৎস্ক, খারকিভ, ওডেসা এবং পলতাভা অঞ্চলে প্রতিহত করা হয়েছে।
ওডেসার গভর্নর ওলেফ কিপার জানিয়েছেন, ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে পাঁচটি বাসভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে কেউ আহত হননি। খারকিভের গভর্নর ওলেফ সাইনিহুভ জানিয়েছেন, একটি ড্রোন আঘাতে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, যদিও এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, বেলগরোদ অঞ্চলে তারা একটি ইউক্রেনীয় ড্রোন প্রতিহত করেছে। কুরস্কের আঞ্চলিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবার সকালে রুশ আকাশ প্রতিরক্ষা একটি ইউক্রেনীয় ক্ষেপণাস্ত্রকে ভূপাতিত করেছে।
এই সহায়তা ইউক্রেনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি রাশিয়ার আগ্রাসন প্রতিহত করতে দেশটির সামরিক শক্তি বাড়াবে। তবে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে ইউক্রেন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক কেমন থাকবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা ভবিষ্যৎ সহায়তার ধারাবাহিকতা নিয়ে উদ্বিগ্ন।