Logo

আন্তর্জাতিক    >>   দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সিউল ওয়েস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট তার বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

ইউন সুক ইওল চলতি মাসের শুরুতে আকস্মিকভাবে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন। এর ফলে কয়েক দিনের মধ্যেই তাকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে অভিশংসিত এবং পরে বরখাস্ত করা হয়। সামরিক আইন জারির ঘটনাটি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয় এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়।

উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্তে নিয়োজিত দ্য করাপশন ইনভেস্টিগেশন অফিস ফর দ্য হাই-র‌্যাঙ্কিং অফিশিয়ালস (সিআইও) জানিয়েছে, সামরিক আইন জারিকে কেন্দ্র করে তদন্তকারীদের অনুরোধে প্রেসিডেন্ট ইউনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। স্থানীয় গণমাধ্যমের মতে, বর্তমান কোনো প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কোরিয়ায় এ ধরনের গ্রেফতারি পরোয়ানা এই প্রথম।

বার্তাসংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, এই গ্রেফতারি পরোয়ানা আগামী ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। প্রয়োগ করা হলে ইউনকে সিউল ডিটেনশন সেন্টারে আটক রাখা হবে। তবে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার যুক্তি সম্পর্কে আদালত কিংবা সিআইও কোনো মন্তব্য করেনি।

গত ৩ ডিসেম্বর, উত্তর কোরিয়ার হুমকি থেকে মুক্ত কোরিয়া প্রজাতন্ত্র রক্ষা এবং জনগণের স্বাধীনতা ও সুখ সুরক্ষার দাবি জানিয়ে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল দেশজুড়ে সামরিক আইন জারি করেছিলেন। তবে বিরোধীদের তীব্র আপত্তি ও সংসদে ভোটাভুটির পর মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যেই তিনি সামরিক আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন।

সামরিক আইন জারির ঘোষণার পরপরই তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়। আদালত এ সময় ইউনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার তদন্ত শুরু হয়।

এ ঘটনার মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান একজন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ আগে কখনো হয়নি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ঘটনা দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে আরও উত্তেজনা সৃষ্টি করবে।

আদালতের সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে ইউন সুক ইওলকে সিউল ডিটেনশন সেন্টারে আটকের মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হবে। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে চলমান তদন্তে রাষ্ট্রদ্রোহের পাশাপাশি অন্যান্য গুরুতর অভিযোগ নিয়ে তদন্তকারীরা কাজ করছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতি এবং আইনের শাসনের ওপর এই ঘটনা দীর্ঘমেয়াদে কী প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে।





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert