নবান্ন রেস্টুরেন্টের দ্বিতীয় শাখার জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধন—নিউইয়র্কে বাঙালি খাবারের নতুন গন্তব্য হিলসাইড, জামাইকা
প্রজ্ঞা নিউজ ডেস্ক:
নিউইয়র্কে বাঙালি খাবারের স্বাদ, ঐতিহ্য ও গর্বের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। ১ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্বোধন করা হলো বাংলাদেশের জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট “নবান্ন”-এর দ্বিতীয় শাখা। নতুন ঠিকানা ১৬৯-২২ হিলসাইড এভিনিউ, জামাইকা, নিউইয়র্ক, যা উত্তর আমেরিকার বাংলাদেশি অভিবাসীদের জন্য এখন এক নতুন খাদ্য-আনন্দলোক।
অনুষ্ঠানের সূচনায় নবান্ন রেস্টুরেন্টের কর্ণধার, বাংলাদেশি-আমেরিকান স্বনামধন্য উদ্যোক্তা ও সিআইপি মুহাম্মদ কাদের অতিথিদের স্বাগত জানান। “৪০ আন্ডার ৪০ ইয়াং বিজনেস লিডারস” খেতাবপ্রাপ্ত কাদের বলেন, “নবান্ন শুধু একটি রেস্টুরেন্ট নয়, এটি বাংলাদেশের স্বাদ এবং আতিথেয়তার এক অন্যতম দূত।”
উদ্বোধনের বিশেষ মুহূর্তটি আরও উজ্জ্বল হয় বাংলাদেশের নব্বই দশকের কিংবদন্তি চিত্রনায়িকা মৌসুমীর উপস্থিতিতে। তিনি মালিক মুহাম্মদ কাদেরের সঙ্গে ফিতা কেটে নবান্নের নতুন পথচলা ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ড চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ, ট্রাস্টি ফকরুল ইসলাম (দেলোয়ার), কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট আহসান হাবিব, জামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ড সোসাইটির উপদেষ্টা ওসমান গনি, খায়রুল ইসলাম খোকন, খ্যাতিমান অভিনেতা আহমেদ শরীফ এবং আরও অনেকে।
দেলোয়ার, সিআইপি তাঁর বক্তব্যে গর্বের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন নবান্নের দক্ষ ব্যবস্থাপনা দলকে—মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, কাজী মিনহাজ শুভ, দুলাল (জ্যাকসন হাইটস শাখা), এবং জাহাঙ্গীর জয় (জামাইকা শাখা)। তিনি বলেন, “এই নিবেদিত টিমের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণেই নবান্ন আজ উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশের আসল স্বাদ ছড়িয়ে দিচ্ছে।”
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত ও বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন ইমাম খালিদ সাইফুল্লাহ, নবান্নের সাফল্য কামনা করে। এরপর একে একে বক্তব্য রাখেন অতিথিরা, যারা রেস্টুরেন্টটির নান্দনিক পরিবেশ, ঐতিহ্যবাহী পদ এবং আন্তরিক সেবার প্রশংসা করেন।
নবান্নের এই নতুন শাখায় ডাইন-ইন, টেকআউট, পার্টি হলে অনুষ্ঠান আয়োজন এবং ক্যাটারিং সার্ভিস সুবিধা থাকবে। দিনে ৫,০০০ অতিথিকে পরিবেশনের ক্ষমতা নিয়ে নবান্ন এখন উত্তর আমেরিকার বৃহত্তম বাংলাদেশি মালিকানাধীন রেস্টুরেন্টগুলোর একটি।
মেনুতে রয়েছে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবার, কুমিল্লার রসমালাই, দেশি চটপটি-ফুচকা, বিরিয়ানি থেকে শুরু করে বাংলাদেশি স্বাদের বিশেষ চাইনিজ—সবই যেন এক কথায় “দেশের গন্ধে ভরা স্বাদ”।
শেষে মুহাম্মদ কাদের, সিআইপি ঘোষণা দেন ২০২৭ সালের মধ্যে ব্রঙ্কস, ব্রুকলিন ও ম্যানহাটনে আরও তিনটি শাখা খোলার পরিকল্পনা। তিনি বলেন, “নবান্ন কখনো খাবারের মানের সঙ্গে আপস করবে না। আমাদের প্রতিটি পদে থাকবে ভালোবাসা, সতেজতা ও স্বাদের অঙ্গীকার।”
নবান্ন—শুধু খাবার নয়, এটি উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশি পরিচয় ও সংস্কৃতির এক নিবেদিত সেতুবন্ধন।

















