
শেখ হাসিনা ফিরে আসবেন — ঐক্য, প্রস্তুতি ও সজাগ আন্দোলন এখন সময়: নয়ন বিশ্বাস রকি
প্রজ্ঞা নিউজ ডেস্ক:
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুত দেশে ফিরবেন—এবং তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশ পুনরায় উন্নয়নের পথে দাঁড়াবেন, এই আস্থা আমাদের সকলের মধ্যে থাকা উচিত। বর্তমান পরিস্থিতি গভীর উদ্বেগ জাগায়: দেশের নিরাপত্তা, সাংবিধানিক সংস্থা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সবকিছুই ঝুঁকির মুখে পড়েছে—এই বাস্তবতা অনেকে এখনই কণ্ঠে উচ্চারণ করছেন।
সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী, পেশাগত ও নিরপেক্ষ রাখতে জনগণের শক্ত ও গণতান্ত্রিক প্রত্যাশা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। সেনা ও অন্যান্য সশস্ত্র বাহিনীকে রাষ্ট্রের মেয়াদী ও সংবিধানিক কর্তব্য পালনকারী শক্তি হিসেবে গড়ে তোলা—এটাই দেশের দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তার ভিত্তি। সাম্প্রতিক সময়ে সেনাবাহিনীর কিছু শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা গ্রেফতার ও তদন্তের খবর রাজনৈতিক আবহাওয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়ে জাতীয় উদ্বেগ বাড়িয়েছে; এই ধরনের ঘটনা প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও আইনি ন্যায়বিচারের দাবি জাগায়।
ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের বাতিল বা পেছানোর উপর নানা জল্পনা-উত্তেজনা চলছে — কিছু মহল মনে করছেন এ ধরনের পরিকল্পনা নানা নাটকীয় ঘটনাচক্রে সৃষ্টি করা হচ্ছে যাতে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করে তোলা যায়। এমন বড় ধরনের ষড়যন্ত্রের প্রতিহত করতে রাজনৈতিক সংগঠন ও সাধারণ জনগণকে একযোগে সোচ্চার ও প্রস্তুত থাকতে হবে। নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতে আইনি, সামাজিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়েই চাপ সৃষ্টি করা প্রয়োজন।
বর্তমান অভিজ্ঞতা বলছে—কঠোর পদক্ষেপ ও অপ্রমাণিত প্রতিশ্রুতির মধ্যে পার্থক্য আছে; গত একবছরের ঘটনার আলোকে অনেক প্রশ্ন জাগছে এবং প্রতিশ্রুতির মূল্য বিচার করা জরুরি। জনগণের মানবাধিকার, সংবাদ-সততা ও বিচারের স্বাধীনতা রক্ষা করাই হবে স্বতন্ত্র লক্ষ্য; সাংবাদিকতা ও নাগরিক সমাজের ওপর চাপ-প্রতিবন্ধকতা থাকলে সেগুলো দ্রুত মনিটর ও প্রতিরোধ করতে হবে।
আমাদের করণীয় —
১/ দেশের গৌরব, সংবিধান ও জনগণের মৌলিক অধিকারের পক্ষে এগিয়ে আসা; সত্য উন্মেষে এবং ভ্রান্ত তথ্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকা।
২/ পদে বা পার্টির উর্ধ্বে জাতির স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া; অসংগত অভিযোগ থাকলে আইনি প্রক্রিয়াকে কাজে লাগিয়ে সঠিক যাচাই করা।
৩/ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে তথ্য-প্রচারের মধ্যে সতর্কতা অবলম্বন করে গণজাগরণী কার্যক্রম চালানো—সত্য, সূত্র ও প্রমাণভিত্তিক বার্তা ছড়ানো।
৪/ সেনাবাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পেশাগততা, নিরপেক্ষতা ও সাংবিধানিক কর্তব্য বজায় রাখার দাবি উত্থাপন করা।গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশের সংবিধান রক্ষায় আমাদের প্রস্তুতি হবে সংগঠিত, ন্যায়পরায়ণ ও আইনি। আমরা যে কথাগুলো বলি—সেগুলো প্রমাণভিত্তিক ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে—তাই হওয়া উচিত। এছাড়া দেশের বাহিনী ও প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর যে অনিশ্চয়তা রয়েছে, সেটি দূর করতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ পথে বুঝিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে; যারা দেশপ্রেমে বিশ্বাস রাখে, তারা নৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হবে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার সংকল্প যদি সত্যিই আমাদের আছে, তবে প্রস্তুতি—নৈতিকতা—সংগঠিত আন্দোলন ও আইন-আদালতের প্রতি বিশ্বাস নিয়ে কাজ করতে হবে। ভয় নয়, সতর্কতা ও আপোষহীন ঐক্যই হবে আমাদের শক্তি। দেশের ভবিষ্যৎ রক্ষায় সকল স্তরের নেতাকর্মী ও সচেতন জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।
— জয় বাংলা — দেশের কল্যাণের জন্য ঐক্য, সততা ও ত্যাগ।
নয়ন বিশ্বাস রকি
কলামিস্ট ও সাবেক ছাত্রনেতা ।