সোন ডাফি: যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহনমন্ত্রী পদে ট্রাম্পের মনোনয়ন
- By Jamini Roy --
- 19 November, 2024
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রশাসনের পরিবহনমন্ত্রী হিসেবে সোন ডাফিকে মনোনয়ন দিয়েছেন। সোন ডাফি একজন অভিজ্ঞ কংগ্রেস সদস্য এবং টেলিভিশন বিশ্লেষক। ট্রাম্পের ঘোষণার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ব্যয় সাশ্রয়ের জন্য নতুন পরিকল্পনার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
সোন ডাফি ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান হিসেবে উইসকনসিনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি টেলিভিশন মাধ্যমে বিশেষভাবে পরিচিত মুখ, বিশেষ করে ফক্স নিউজ এবং এমটিভিতে তাঁর উপস্থাপনার জন্য।
গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প সোন ডাফিকে একজন যোগ্য, দক্ষ এবং প্রতিযোগিতামুখী নেতা হিসেবে প্রশংসা করেন। ট্রাম্প বলেন, "যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে মহাসড়ক, টানেল, সেতু এবং বিমানবন্দর পুনর্নির্মাণের কাজে ডাফি শ্রেষ্ঠত্ব এবং সৌন্দর্যকে অগ্রাধিকার দেবেন।"
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বাধীন রিপাবলিকান সরকার ক্ষমতায় এসে ব্যয় সাশ্রয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর মধ্যেই ট্রাম্প সোন ডাফির আর্থিক দক্ষতাকে বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ডাফি প্রতিনিধি পরিষদে দায়িত্ব পালনকালে আর্থিক দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
সোন ডাফির রাজনৈতিক জীবন শুরু হওয়ার আগে তিনি গণমাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেন। ফক্স নিউজে তিনি নিয়মিত বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করেছেন এবং "ফক্স বিজনেস" নামে একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছেন। এমটিভিতেও তাঁর উপস্থাপনা প্রশংসিত হয়।
ডাফির দীর্ঘ ক্যারিয়ার তাকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পর্যায়ে পরিচিতি দিয়েছে। তার মিডিয়া অভিজ্ঞতা এবং রাজনৈতিক দক্ষতা একত্রে ট্রাম্প প্রশাসনের পরিবহন খাতের উন্নয়নে সহায়ক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সোন ডাফি পরিবহনমন্ত্রী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারেন। মহাসড়ক, সেতু এবং বিমানবন্দর পুনর্নির্মাণের মাধ্যমে আধুনিক এবং কার্যকর পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলাই তাঁর মূল লক্ষ্য হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে অনেকেই ইতিবাচকভাবে দেখছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডাফির নেতৃত্বে পরিবহন খাতের আধুনিকীকরণ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
সোন ডাফির মনোনয়ন শুধু ট্রাম্প প্রশাসনের পরিকল্পনাকেই নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি পরিবহন নীতিকে নতুন দিশা দিতে পারে। দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি আর্থিক দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে ডাফির অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।