Logo

রাজনীতি    >>   চার সংস্কার কমিশন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিল

চার সংস্কার কমিশন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিল

চার সংস্কার কমিশন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিল

আজ (১৫ জানুয়ারি) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চারটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তেজগাঁওয়ে অবস্থিত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনগুলোর প্রধানরা। এই কমিশনগুলো হলো: নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ কমিশন এবং সংবিধান সংস্কার কমিশন। জমা দেয়ার পরপরই সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শুরু হবে, এবং বিকেল ৩টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানানো হবে।

প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর কমিশনগুলোর সুপারিশগুলো সরকারের দৃষ্টিতে আনা হবে, এবং রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পরবর্তী সংলাপের মাধ্যমে সংস্কারের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সরকার আশা করছে, এসব প্রতিবেদন থেকে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা পাওয়া যাবে, যা দেশের বিভিন্ন খাতের সংস্কারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রাথমিক দিক নির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে।

গত ৩ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকার ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল। এর মধ্যে প্রথম ধাপে গঠিত কমিশনগুলো নির্বাচন পদ্ধতি, দুর্নীতি দমন, পুলিশ ব্যবস্থা, সংবিধান ও বিচার বিভাগ সংস্কারের ওপর প্রস্তাবনা দেয়। দ্বিতীয় ধাপে আরও পাঁচটি কমিশন গঠিত হয়, যেগুলোর মধ্যে ছিল গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শ্রম, নারীবিষয়ক এবং স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা সংস্কারের কমিশন।

প্রথম ধাপের কমিশনগুলো তিন মাস ধরে বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে, তাদের সুপারিশগুলো চূড়ান্ত করেছে। এসব সুপারিশের মধ্যে রয়েছে নির্বাচন পদ্ধতি সংশোধন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রক্রিয়া পরিবর্তন, সংসদের কক্ষ সম্পর্কিত প্রস্তাবনা, এবং দুর্নীতি দমনসহ নানা আইনগত পদক্ষেপ।

প্রথম ধাপে গঠিত কমিশনগুলোর প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নেবে। বিশেষত, নির্বাচন পদ্ধতি এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ নিয়ে আলোচনা হবে। ইতোমধ্যে, ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এখন পর্যন্ত আলোচনায় উঠে এসেছে যে, রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংস্কারের প্রস্তাবগুলো দেশের শাসনব্যবস্থার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনবে। এই সংস্কারের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সরকার আশা করছে, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাকি কমিশনগুলো তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে এবং এতে দেশের আইনি, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কাঠামোতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে।

এই সংস্কার কমিশনগুলো সরকারের জন্য এক নতুন দিক নির্দেশনা হতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের আইন, বিচার, প্রশাসন এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থায় আরও কার্যকর ও স্বচ্ছ পরিবর্তন নিয়ে আসবে।





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert