কিম জং উনের নতুন নির্দেশনা: আত্মঘাতী ড্রোন উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত
- By Jamini Roy --
- 15 November, 2024
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আত্মঘাতী ড্রোনের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য নতুন নির্দেশ দিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি বলেন, ড্রোনগুলোর উৎপাদন ত্বরান্বিত করতে এবং মাসিক ভিত্তিতে পুরোপুরি উৎপাদন ব্যবস্থা চালু করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এটি এমন একটি সময় আসছে, যখন রাশিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সামরিক সহযোগিতা নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কিম জং উন গত বৃহস্পতিবার ড্রোনগুলোর পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ করেন, যেগুলো মূলত ভূমি ও সমুদ্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই ড্রোনগুলো উত্তর কোরিয়ার আন্ডারম্যানড এয়ারিয়াল টেকনোলজি কমপ্লেক্স দ্বারা উৎপাদিত হচ্ছে এবং এটি বিস্ফোরক বহন করে শত্রুর লক্ষ্যবস্তুতে আছড়ে পড়ে, কার্যত এটি একটি গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে কাজ করে। কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি জানায়, এই পরীক্ষায় ড্রোনগুলো নির্ধারিত পথে চলে সঠিকভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।
কিম জং উন এই ড্রোনগুলোর ব্যাপক উৎপাদন এবং তাদের কার্যকরী ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, এগুলো ব্যবহার করা সহজ এবং বিস্ফোরক বহন করতে সক্ষম, যা তুলনামূলকভাবে কম খরচে উৎপাদিত হয়। এর ফলে উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনীকে একটি শক্তিশালী এবং কার্যকরী আক্রমণ ক্ষমতা প্রদান করা সম্ভব হবে।
উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি অমানবিক প্রযুক্তি সিস্টেমে উন্নয়নকে একেবারে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে এবং এটি দেশের সামরিক কৌশলের সঙ্গে একীভূত করার ওপরও গুরুত্ব দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সামরিক সম্পর্ক আরও গভীর হওয়ার কারণে এই ড্রোন প্রযুক্তি উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
এটি এমন একটি সময়ে ঘটছে, যখন উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের সমর্থনে হাজার হাজার সেনা পাঠানোর জন্য অভিযুক্ত হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োল রাশিয়া থেকে উত্তর কোরিয়ায় সংবেদনশীল সামরিক প্রযুক্তি স্থানান্তরের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে, আগস্ট মাসে প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়া আত্মঘাতী ড্রোন উন্মোচন করেছিল, যা বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সামরিক সম্পর্কের ফলস্বরূপ হতে পারে। এ ধরনের ড্রোনগুলো সামরিক আক্রমণে বিশেষভাবে কার্যকর এবং এর ফলে উত্তর কোরিয়ার সামরিক সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি পাবে।