সিরিয়ায় ইরান-সমর্থিত ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা
- By Jamini Roy --
- 12 November, 2024
মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড (সেন্টকম) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর ঘাঁটিতে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার সেন্টকম জানায়, এই আক্রমণটি গত ২৪ ঘণ্টায় সিরিয়ায় মার্কিন নাগরিকদের ওপর চালানো একাধিক হামলার প্রতিশোধ হিসেবে পরিচালিত হয়েছে। মার্কিন মিডিয়া আলজাজিরা ও রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, সেন্টকম সিরিয়ার দুটি স্থানে ৯টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।
সেন্টকমের মতে, ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলার পরিকল্পনা করছিল, যা প্রতিহত করতে এই বিমান হামলা চালানো হয়েছে। মার্কিন বাহিনী ও তাদের সহযোগী বাহিনীর ওপর সম্ভাব্য আক্রমণের ঝুঁকি কমানোর জন্যই এই হামলা পরিচালিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এই গোষ্ঠীগুলো সিরিয়া ও ইরাক অঞ্চলে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাতে সক্ষম এবং তাদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিলে মার্কিন বাহিনী আরও সুরক্ষিত থাকবে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র মাঝে মাঝে ইরাক এবং সিরিয়ায় ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর অবস্থানে হামলা চালিয়ে থাকে। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিরিয়া ও ইরাকে ৮৫টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র, যা মার্কিন বাহিনীর ওপর আক্রমণের জবাবে পরিচালিত হয়। মার্কিন প্রশাসন জানায়, এসব আক্রমণ ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর অবকাঠামো ও সামরিক সক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত করে।
সিরিয়ায় বর্তমানে প্রায় ৯০০ মার্কিন সেনা এবং ইরাকে আড়াই হাজারেরও বেশি মার্কিন সেনা অবস্থান করছে। তারা স্থানীয় সামরিক বাহিনীর সাথে একত্রে কাজ করছে, যার মূল লক্ষ্য হলো জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পুনরুত্থান প্রতিরোধ করা। মার্কিন বাহিনীর উপস্থিতি স্থানীয় সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর হামলা ও সামরিক পরিকল্পনা রোধ করতে এই আক্রমণ চালানো হয়েছে। সেন্টকমের দাবি, এই বিমান হামলা ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর ভবিষ্যৎ হামলার সক্ষমতা কমাবে। সিরিয়া ও ইরাকের মার্কিন সেনাদের ওপর আক্রমণ প্রতিহত করতেই এই অভিযান চালানো হয়েছে।