হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ার হোসেন এ্যানি জামিনে মুক্তির পর ছাত্রদল কর্মী স্বাধীন মিয়ার ওপর হামলা চালিয়েছেন। সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে এই হামলার ঘটনা ঘটে, যাতে স্বাধীন মিয়া গুরুতর আহত হন এবং তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত ছাত্রদল কর্মী স্বাধীন মিয়া অভিযোগ করেন যে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। আন্দোলনে তার অংশগ্রহণের কারণে, জামিনে মুক্তি পাওয়া শায়েস্তাগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন এ্যানি ও তার সহযোগীরা তাকে একা পেয়ে হামলা চালায়। স্বাধীন মিয়া হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বাগুনীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং তার পিতা শাহজাহান মিয়া।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রদল শহরে মিছিল ও সমাবেশ আয়োজন করে। তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। শহরের বিভিন্ন স্থানে এই মিছিলটি সম্পন্ন হয়, যেখানে বক্তারা ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত শাস্তি দাবি করেন।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কান্ত নাথ জানিয়েছেন, এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। তবে পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং অভিযুক্তদের ধরতে সক্রিয় রয়েছে বলে আশ্বস্ত করেন।
এ্যানি ও তার সহযোগীরা ইতোমধ্যেই একটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সহিংস কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন, যা ছাত্র সমাজের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি করে। এ্যানি গ্রেপ্তার হওয়ার পর কিছুদিন কারাগারে ছিলেন এবং সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পান। মুক্তির পরপরই তিনি আবার সহিংসতার সাথে জড়িয়ে পড়েন, যা ছাত্রসমাজে উদ্বেগের কারণ হয়েছে।
এই ঘটনাটি ছাত্রদল এবং ছাত্রলীগের মধ্যে চলমান রাজনৈতিক সংঘাতের প্রতিফলন, যেখানে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।