অব্যবহৃত ডাটা, মিনিট ও এসএমএস পরবর্তী প্যাকেজে যুক্ত করার দাবি
- By Jamini Roy --
- 14 January, 2025
বাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা উন্নত করার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। এই নোটিশে মোবাইল ইন্টারনেট ডাটা, মিনিট ও এসএমএসের অব্যবহৃত অংশ পরবর্তী প্যাকেজে সংযুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে।
আইনজীবী মো. মিজানুর রহমান ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং চারটি মোবাইল অপারেটর—গ্রামীণফোন, রবি আজিয়াটা লিমিটেড, বাংলালিংক লিমিটেড এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড বরাবর এই নোটিশ পাঠান।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে দিনে ১৮৮.৭৮ মিলিয়ন মানুষ মোবাইল ব্যবহার করেন, যার মধ্যে প্রায় ১৩১ মিলিয়ন মানুষ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। তবে ব্যবহারকারীরা প্রায়ই একটি বড় সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক এবং টেলিটকের গ্রাহকরা ডাটা প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নতুন প্যাকেজ না কিনলে অব্যবহৃত ডাটা আর ব্যবহার করতে পারেন না।
বিশ্বের অনেক দেশেই এই সমস্যা সমাধানের জন্য ডাটা প্যাক, মিনিট এবং এসএমএসে অব্যবহৃত অংশকে ‘ক্যারি ফরওয়ার্ড’ করার সুবিধা রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এই সুবিধা না থাকায় মোবাইল ব্যবহারকারীরা নানা অসুবিধায় পড়ছেন।
নোটিশে আরও বলা হয়, অব্যবহৃত ডাটা, মিনিট ও এসএমএস গ্রাহকদের পরবর্তী প্যাকেজে যুক্ত করার সুযোগ দিতে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। এই দাবির ব্যাপারে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাড়া না দিলে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলে জানান আইনজীবী মিজানুর রহমান।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিটিআরসির পক্ষ থেকে নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়। নির্দেশিকায় বলা হয়, গ্রাহকদের সুবিধার্থে ‘ফ্লেক্সিবল প্ল্যান’ নামে একটি নতুন প্যাকেজ অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই প্যাকেজের অধীনে মেয়াদবিহীন প্যাকেজও থাকবে, তবে সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করতে হবে।
নির্দেশিকায় আরও উল্লেখ করা হয়, যেকোনো প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক দিন আগে গ্রাহককে এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। পাশাপাশি, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে যদি গ্রাহক একই প্যাকেজ পুনরায় ক্রয় করেন, তাহলে অব্যবহৃত ডাটা পরবর্তী প্যাকেজে ‘ক্যারি ফরওয়ার্ড’ করা যাবে।
এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে দেশের মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য একটি বড় পরিবর্তন আসবে। গ্রাহকরা তাঁদের প্যাকেজের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারবেন এবং মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি তাঁদের আস্থা আরও বাড়বে।