গাজায় হামাস-ইসরাইলের যুদ্ধবিরতির দ্বারপ্রান্তে, যেকোনো সময় সিদ্ধান্ত
- By Jamini Roy --
- 14 January, 2025
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘাতের অবসান নিয়ে হামাস ও ইসরাইল চুক্তির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। কাতারের দোহায় গত সাতদিন ধরে চলে আসা আলোচনায় শিগগিরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
স্থানীয় সময় সোমবার (১৩ জানুয়ারি), হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গাজায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার আগেই। ইসরাইল ও হামাস বন্দি বিনিময় ও যুদ্ধবিরতির প্রাথমিক চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছেছে বলে জানান তিনি।
বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, "আমার প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরে এ বিষয়ে তোড়জোড়ের সঙ্গে কাজ করেছে। যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে আমরা জিম্মিদের মুক্তি এবং ফিলিস্তিনে মানবিক সাহায্য পৌঁছে দিতে পারব।"
জো বাইডেন আরও জানান, তিনি শিগগিরই মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করবেন। "যুদ্ধবিরতি চুক্তি দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে। এটি সফল হলে, বহু মানুষের কষ্ট লাঘব হবে," বলেন তিনি।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী। সংবাদমাধ্যম এনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, "যুদ্ধবিরতির আলোচনা আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এবার অনেক বেশি অগ্রগতি অর্জন করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যাপারে অত্যন্ত আশাবাদী।"
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রশাসন যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্য চুক্তি তিনটি ধাপে বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা করেছে।
- প্রথম ধাপে:চুক্তি কার্যকরের পর ৩৩ জন ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়ার কথা ভাবছে তেল আবিব।
- দ্বিতীয় ধাপে:চুক্তি কার্যকর হওয়ার ১৬তম দিনে বন্দি সেনা এবং অন্যান্য নাগরিকদের মুক্তির বিষয়ে কাজ হবে।
- তৃতীয় ধাপে:গাজায় ভবিষ্যৎ সরকার গঠন এবং উপত্যকার প্রশাসনিক কাঠামো নিয়ে আলোচনা হবে।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব হবে এবং দীর্ঘদিনের এই সংঘাতের স্থায়ী সমাধানের পথ সুগম হতে পারে। এই চুক্তি শুধু গাজার বাসিন্দাদের জন্যই নয়, বরং পুরো অঞ্চলের শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
যদিও পরিস্থিতি এখনও চূড়ান্ত হয়নি, তবে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই চুক্তি বাস্তবায়ন হলে গাজা উপত্যকার দীর্ঘমেয়াদি অস্থিরতা কিছুটা প্রশমিত হবে।