খালেদা জিয়ার আপিলের রায় ঘোষণা বুধবার

বহুল আলোচিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা বাড়িয়ে হাইকোর্টের দেয়া ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আপিল আবেদনের শুনানি শেষে আগামী বুধবার রায় ঘোষণা করা হবে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই দিন ঠিক করেছে।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি, ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই রায়ে, তার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আরও পাঁচজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। পরবর্তীতে, ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ দুদকের আবেদনে হাইকোর্ট রুল জারি করে এবং ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করার নির্দেশ দেয়।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় রাষ্ট্রপতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজা মওকুফ করেন। তবে বিএনপির আইনজীবীরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। রাষ্ট্রপতির ক্ষমা তার অপরাধকে মেনে নেয়া নয়, বরং আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে তিনি এ মামলা মোকাবিলা করতে চান।

খালেদা জিয়ার আপিল আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হওয়া সত্ত্বেও এখনো দণ্ডের বিষয়টি অমীমাংসিত রয়েছে। আগামী বুধবার আপিল বিভাগের রায়ের পর এই মামলার পরবর্তী অধ্যায় শুরু হবে।

শুনানির সময় দুদকের আইনজীবী মো. আসিফ হাসান আদালতকে জানিয়েছিলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের টাকা আত্মসাৎ হয়নি, তবে ফান্ডটি সরানো হয়েছে এবং সুদসহ টাকা এখনও অ্যাকাউন্টে জমা আছে।

এই মামলায় খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা দাবি করছেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলি ভিত্তিহীন এবং তিনি অপরাধ করেননি।

খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তিনি বিচার প্রক্রিয়া ও আইনের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল। তারা আশা করছেন, আপিল বিভাগের রায় খালেদা জিয়ার পক্ষে আসবে এবং তিনি আইনের মধ্যেই তার স্বীকৃতি পাবেন।

এই মামলার রায় রাজনৈতিক এবং আইনগতভাবে দেশের পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, যা আগামী দিনের নির্বাচন ও রাজনীতির ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে।