রাশিয়া, চীন ও ইরানকে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কঠোর বার্তা

বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার ভাষণে দাবি করেছেন, আমেরিকা এখন আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী এবং চীন কখনো আমেরিকাকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে না। তিনি সোমবার (১৩ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র দপ্তরে একটি ভাষণ দেন, যেখানে তিনি তার চার বছরের শাসনকালের আন্তর্জাতিক অর্জন তুলে ধরেন এবং বিশ্বের কয়েকটি প্রধান শক্তির বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দেন।

বাইডেন তার ভাষণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিয়ে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, পুতিন ভেবেছিলেন, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ কয়েক দিনের মধ্যে দখল করবেন। তবে তিনি নিজেই কিয়েভে উপস্থিত হয়ে জানান, পুতিন তা করতে পারেননি। বাইডেন ২০২৩ সালে ইউক্রেন সফরে যান, যেখানে মার্কিন বাহিনী ছিল না, যা ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ সংকেত।

বাইডেন আরও জানান, ইউক্রেনের পাশে থাকার কোনো বিকল্প নেই এবং তার শাসনামলে আমেরিকা ইউক্রেনকে বিলিয়ন ডলারের সামরিক সাহায্য দিয়েছে। তিনি সাবধান করেন, তার উত্তরসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন চুক্তি করতে পারেন, যা ইউক্রেনের ভূখণ্ড হারানোর ঝুঁকি তৈরি করবে।

চীনের ব্যাপারে বাইডেন বলেন, চীন বর্তমানে যে গতিপথে চলছে, তাতে তারা কখনো আমেরিকাকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে না। বাইডেন দাবি করেন, আমেরিকা বিশ্ব নেতৃত্বে অটল থাকবে এবং তার শাসনামলে আমেরিকার বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ককে সংঘাতের পর্যায়ে যেতে দেননি।

গাজায় চলমান সংঘাতের প্রসঙ্গে, বাইডেন বলেন, যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। তিনি ইসরায়েলের প্রতি তার সরকারের সমর্থন তুলে ধরেন, যদিও এতে তাকে দলের অভ্যন্তরে সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে।

বাইডেন আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহার এবং তালেবানদের হাতে আফগান সরকারের পতনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন, এবং বলেন এটি সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল যা ইতিহাস প্রমাণ করবে।

পরিবেশ নিয়ে বাইডেন ট্রাম্প প্রশাসনের সবুজ জ্বালানি নীতি চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান এবং জলবায়ু পরিবর্তন অস্বীকারকারীদের সমালোচনা করেন। তিনি তাদের চিন্তাভাবনাকে মৃতপ্রায় এবং গত শতাব্দীর অংশ বলে উল্লেখ করেন।

বাইডেন বুধবার (১৫ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউস থেকে তার বিদায়ী ভাষণ দেবেন, যা যুক্তরাষ্ট্রে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে।