Logo

আন্তর্জাতিক    >>   আইএমএফের সাবেক প্রধান রাতোর চার বছরের কারাদণ্ড

আইএমএফের সাবেক প্রধান রাতোর চার বছরের কারাদণ্ড

আইএমএফের সাবেক প্রধান রাতোর চার বছরের কারাদণ্ড

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক প্রধান এবং স্পেনের প্রভাবশালী রাজনীতিক রদ্রিগো রাতোকে কর ফাঁকি, অর্থ পাচার এবং দুর্নীতির অভিযোগে চার বছর ৯ মাস এক দিন কারাদণ্ড দিয়েছে স্পেনের আদালত। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ঘোষিত এ রায়ে আদালত তাকে ২০ লাখ ইউরো জরিমানা এবং কর কর্তৃপক্ষকে ৫ লাখ ৬৮ হাজার ৪১৩ ইউরো পরিশোধেরও নির্দেশ দিয়েছে।

আদালতের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাতো অর্থ বিভাগের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ, অর্থ পাচারের একটি অভিযোগ এবং একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। রাতো বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

আদালতের মুখপাত্র জানিয়েছেন, রাতো সুপ্রিম কোর্টে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত তাকে আপাতত কারাগারে যেতে হবে না।

রদ্রিগো রাতো স্পেনের একজন ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদ। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি স্পেনের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। এরপর ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার প্রভাবশালী রাজনৈতিক এবং আর্থিক ক্যারিয়ার তার দুর্নীতির অভিযোগের কারণে কালিমালিপ্ত হয়েছে।

২০১৫ সালের ১৬ এপ্রিল প্রতারণা, অর্থ আত্মসাৎ এবং অর্থ পাচারের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ব্যাঙ্কিয়ার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৭ সালে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

নতুন মামলায় বছরব্যাপী বিচার প্রক্রিয়া শেষে শুক্রবার রাতে শাস্তি ঘোষণা করা হয়। এই মামলায় তার বিরুদ্ধে কর ফাঁকি এবং বড় অঙ্কের অর্থ পাচারের অভিযোগ উঠে। অভিযোগ অনুসারে, তিনি কর ফাঁকির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ গোপন করেন এবং বেআইনিভাবে তা দেশের বাইরে পাঠান।

ব্যাঙ্কিয়ার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় রাতো অর্থ আত্মসাতের জটিল পরিকল্পনা পরিচালনা করেন। এটি স্পেনের আর্থিক খাতে এক বড় ধরনের কেলেঙ্কারি হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর ২০১৭ সালে সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়, যা তিনি ইতিমধ্যে ভোগ করেছেন।

রদ্রিগো রাতোর নেতৃত্বে স্পেনের অর্থনীতি তার রাজনৈতিক মন্ত্রিত্বকালে স্থিতিশীল অবস্থায় ছিল। তবে, আইএমএফের শীর্ষপদ থেকে তার দুর্নীতির কারণে সেই সুনাম নষ্ট হয়। বিশেষ করে ব্যাঙ্কিয়ার দেউলিয়া হওয়ার ঘটনায় তার ভূমিকা স্পষ্ট হয়।