Logo

আন্তর্জাতিক    >>   সিরিয়ায় এইচটিএস নেতার বিরুদ্ধে পুরস্কার স্থগিত

সিরিয়ায় এইচটিএস নেতার বিরুদ্ধে পুরস্কার স্থগিত

সিরিয়ায় এইচটিএস নেতার বিরুদ্ধে পুরস্কার স্থগিত

যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) প্রধান আহমেদ আল-শারা ওরফে আবু মুহাম্মদ আল-জোলানির মাথার ওপর ১ কোটি ডলারের পুরস্কার স্থগিত করেছে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে মার্কিন প্রতিনিধিদল ও এইচটিএস নেতার মধ্যে আলোচনার পর এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের শীর্ষ কর্মকর্তা বার্বারা লিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে হায়াত তাহরির আল-শাম আলোচনায় এসেছে। সম্প্রতি, ১২ দিনের ঝটিকা অভিযানে এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও তাদের মিত্ররা সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নেয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দীর্ঘ ২৪ বছরের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নেন।

এইচটিএস আগে আল-কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকলেও তারা এখন নিজেদের একটি স্বতন্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী হিসেবে দাবি করে। দলটি নিজেদের সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দেয়ার আহ্বান জানায় এবং সিরিয়ার বেসামরিক জনগণের প্রতি তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে।

বার্বারা লিফের নেতৃত্বে মার্কিন প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রেসিডেন্টের হোস্টেজ বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি রজার কারস্টেনস এবং জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ড্যানিয়েল রুবিনস্টাইন। বৈঠকে সিরিয়ার রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়।

বার্বারা লিফ বলেন, "আলোচনার মূল লক্ষ্য ছিল নিশ্চিত করা যে কোনো বিদ্রোহী গোষ্ঠী যেন সিরিয়া বা বহির্বিশ্বের জন্য হুমকি না হয়ে ওঠে।" তিনি জানান, আহমেদ আল-শারার বিরুদ্ধে ঘোষিত পুরস্কার স্থগিত করার বিষয়টি ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন এইচটিএস প্রধান।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আহমেদ আল-শারা বলেন, "যে নিষেধাজ্ঞাগুলো আগে সিরিয়ার সরকারকে লক্ষ্য করে আরোপিত হয়েছিল, তা এখন তুলে নেয়া উচিত। আমাদের বিরুদ্ধে এমন শাস্তি অন্যায়। আমরা আসাদ সরকারের অত্যাচারের শিকার হয়েছি, কোনো বেসামরিক লোক বা এলাকাকে লক্ষ্যবস্তু বানাইনি।"

মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের (সেন্টকম) এক বিবৃতিতে জানানো হয়, সিরিয়ার আইএস সদস্যদের লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে গোষ্ঠীটির শীর্ষ নেতাসহ বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন।

এদিকে, সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের কূটনৈতিক সফরটি পশ্চিম এশিয়ায় তাদের ভূমিকা নতুনভাবে চিহ্নিত করেছে। বিশেষত আসাদ সরকারের পতনের পর এটি ছিল প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক, যা সিরিয়ার নতুন রাজনৈতিক মানচিত্রের সম্ভাবনা উন্মোচন করেছে।