দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি
- By Jamini Roy --
- 06 December, 2024
দক্ষিণ কোরিয়ার পিপল পাওয়ার পার্টির (PPP) প্রধান হান ডং হুন শুক্রবার বলেছেন, যদি প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে অবিলম্বে সরানো না হয়, তবে দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ বড় বিপদের মুখে পড়বে। তিনি সতর্ক করেন যে, প্রেসিডেন্ট ইউন যদি ক্ষমতায় থাকেন, তবে দেশে সামরিক আইন জারি হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে, যা দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ ও দেশের জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনবে।
হান ডং হুন তার বক্তব্যে আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল সামরিক আইন জারি করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের আটক করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁর মতে, এ বিষয়টি নিয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া গেছে, এবং সামরিক আইন জারি করা হলে দক্ষিণ কোরিয়া বিপদে পড়বে। তিনি উল্লেখ করেন, প্রেসিডেন্ট ইউন গোয়েন্দা পুলিশের প্রধানকে রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকে আটক করতে বলেছিলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের প্রতি জনসমর্থন দিন দিন কমে যাচ্ছে। গ্যালাপ কোরিয়ার সাম্প্রতিক একটি জরিপে দেখা গেছে, প্রেসিডেন্ট ইউনের প্রতি সমর্থনের হার ১৩ শতাংশে নেমে এসেছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬ শতাংশ। এর ফলে সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা হ্রাস পাচ্ছে এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট ইউনের বিরুদ্ধে বিরোধী পক্ষের চাপ আরও বাড়ছে। বিরোধী দলগুলি আগামী শনিবার পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্টের অভিশংসন প্রস্তাব তুলতে চায়। তবে ক্ষমতাসীন পিপল পাওয়ার পার্টি অভিশংসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে এবং তাদের পক্ষ থেকে অভিশংসনে ভোট না দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এদিকে, দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন পদত্যাগ করেছেন এবং নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে সৌদি আরবে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত চোই বিয়াং-হিয়াক নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন।
গত মঙ্গলবার রাতে সামরিক আইন জারির পর দক্ষিণ কোরিয়ায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল। এতে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও তীব্র হয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাবের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
বিরোধী দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ইউনের বিরুদ্ধে তাদের অভিশংসন প্রস্তাব আগামী শনিবার পার্লামেন্টে উত্থাপন করা হবে, যেখানে বিরোধী জোটের ছয়টি দল একত্রিত হয়ে এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিতে প্রস্তুত।