ইসরায়েল জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে দেশের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আজ বুধবার ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ গুতেরেসকে ‘পারসোনা নন গ্রাটা’ ঘোষণা করেছে, যার ফলে তিনি জাতিসংঘ মহাসচিব হিসেবে প্রাপ্ত কূটনৈতিক সুবিধা পাবেন না। দেশটির সরকার দাবি করেছে, গুতেরেস জাতিসংঘের ইতিহাসে ‘একটি কলঙ্ক’ হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাট্স সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, “আজ আমি আন্তোনিও গুতেরেসকে ইসরায়েলে পারসোনা নন গ্রাটা ঘোষণা করছি এবং তাঁর প্রবেশ নিষিদ্ধ করছি। যিনি ইসরায়েলে ইরানের ঘৃণ্য হামলার সমালোচনা করতে দ্ব্যর্থহীনভাবে অস্বীকৃতি জানান, তিনি ইসরায়েলের মাটিতে পা রাখতে পারেন না।”
ইসরায়েলের অভিযোগ, গুতেরেস হামাসের ৭ অক্টোবরের হত্যাকাণ্ড ও যৌন নৃশংসতা নিয়ে এখন পর্যন্ত নিন্দা জানাননি এবং হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার জন্য কোনো পদক্ষেপও নেননি।
কাট্স আরও বলেন, “গুতেরেস আমাদের সঙ্গে থাকুক বা না থাকুক, ইসরায়েল নিজেদের নাগরিকদের সুরক্ষা ও জাতীয় মর্যাদা বজায় রাখতে কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।”
গত বছরের অক্টোবরে গুতেরেস বলেছিলেন, “আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে ইসরায়েলে হামাসের ৭ অক্টোবরের ভয়াবহ ও নজিরবিহীন হামলার নিন্দা জানাচ্ছি। বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা, আহত করা এবং জিম্মি করার কোনো ন্যায্যতা নেই। সব জিম্মির প্রতি মানবিক আচরণ করতে হবে এবং তাদের দ্রুত মুক্তি দিতে হবে।”
তবে একই বক্তৃতায় গুতেরেস উল্লেখ করেছিলেন, “এটা স্বীকার করা জরুরি যে হামাসের হামলা শূন্য থেকে হয়নি। ফিলিস্তিনের জনগণ ৫৬ বছর ধরে ইসরায়েলি দখলদারির অধীনে রয়েছে।” গুতেরেসের এই মন্তব্য অনেক ইসরায়েলির ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
গত মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের দখলদারির অবসান চেয়ে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়, যা প্রায় সব দেশ সমর্থন দিয়েছে।