নেত্রকোনা-৪ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী আব্দুস সালাম ভূঁইয়া—দলের দুর্দিনের নিবেদিত সৈনিক এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে
প্রজ্ঞা নিউজ ডেস্ক:
জাতীয় নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার ভিত্তিতে আসন্ন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন—এমনটাই প্রকাশ করেছে আইবিএননিউজ।
এদিকে চলছে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি। জাতীয় রাজনীতির এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে টেকসই ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে বড় প্রত্যাশা, যেন অর্থ, পেশীশক্তি বা বংশপরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে যোগ্য, দেশপ্রেমিক, সৎ ও ন্যায়পরায়ণ নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়।
এই প্রেক্ষাপটে নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরি) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য যোগ্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় উঠে এসেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় নেতা, সাবেক ছাত্রনেতা ও সফল শিল্প উদ্যোক্তা আব্দুস সালাম ভূঁইয়া। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ‘জিয়ারের প্রকৃত সৈনিক’ নামে পরিচিত একজন নিবেদিত নেতা।
২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির কঠিন পরিস্থিতিতে চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যখন কর্নেল সৈয়দ আতাউল হক আতিককে মনোনীত করেন, তখন আব্দুস সালাম ভূঁইয়া সেই সময় দলের প্রতি অবিচল আনুগত্য ও ত্যাগস্বীকারের মাধ্যমে কর্নেল আতিকের প্রধান সংগঠক হিসেবে বিপুল ভূমিকা রাখেন। পরবর্তীতে ঢাকাভিত্তিক রাজনীতিতে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা ও সাংগঠনিক দক্ষতা দলের অভ্যন্তরে তাঁকে এক বলিষ্ঠ নেতৃত্বে পরিণত করেছে।
এখন কর্নেল আতিকের বার্ধক্যে, তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও রাজনৈতিক উত্তরসূরী হিসেবে আব্দুস সালাম ভূঁইয়ার নাম দলীয় মহলে গুরুত্ব লাভ করেছে। এলাকাবাসীর দৃঢ় বিশ্বাস—তিনি যদি বিএনপির মনোনয়ন পান, তবে তিনি বিজয়ী হবেন এবং জনঅধিকার ও উন্নয়নের প্রত্যাশা পূরণে কার্যকর ভূমিকা রাখবেন।
চূড়ান্তভাবে দলীয় মনোনয়ন পেলে আব্দুস সালাম ভূঁইয়া নেত্রকোনা-৪ আসনে শুধু রাজনৈতিক জয় নয়, জনগণের আস্থা ও আশা প্রতিষ্ঠায়ও ভূমিকা রাখবেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত।
সূত্র: হাকিকুল ইসলাম খোকন।
