Logo

খেলাধুলা    >>   আইপিএল বাউন্ডারি বড় করতে বললেন গাভাস্কার

আইপিএল বাউন্ডারি বড় করতে বললেন গাভাস্কার

আইপিএল বাউন্ডারি বড় করতে বললেন গাভাস্কার

Progga News Desk:

আইপিএল মানেই রানের বন্যা এটাই এতোদিন সবাই ভেবে আসছে। কেননা আইপিএলে তো সবই ব্যাটারদের অনুকূলে, বোলারদের জন্য যেন কিছুই নেই। ফ্ল্যাট পিচে ব্যাটারদের হাতে  মার খেতে খেতেই যেন অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছেন বোলাররা।

তাই বিষয়টিকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না ক্রিকেটবোদ্ধারা । বোলিং ও ব্যাটিং উভয় বিভাগেই ভারসাম্য রাখার পক্ষে তারা। তাদের ধারণা, সাময়িকভাবে দর্শকদের বেশি বিনোদন দিতে দীর্ঘদিন এমনটি চলতে থাকলে এক সময় আইপিএলটাই হয়তো নিষ্প্রাণ-আনন্দহীন হয়ে যাবে।

ধারাভাষ্যকার ও ভারতের সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনিল গাভাস্কার বিষয়টি সমাধান করতে পিচ ও মাঠের পরিস্থিতিতে পরিবর্তন করার আহ্বান জানিয়েছেন।

মাঠের বাউন্ডারি বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন গাভাস্কার। তিনি মনে করেন, এলইডি বিজ্ঞাপন বোর্ডগুলোর পিছনে পর্যাপ্ত পরিমান জায়গা রয়েছে যেগুলো পেছনে সরিয়ে এনে খেলার জন্য মাঠ বড় করা যেতে পারে।

এই মৌসুমের প্রথম ১১ ম্যাচে ৬ বার দলীয় স্কোর ২০০ রানের ওপরে গেছে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ২৮৬ রান করেছিল। যা ব্যাটিং বান্ধব কন্ডিশনের স্পষ্ট প্রতিফলন।

মিড ডে-তে লেখা একটি কলামে গাভাস্কার বলেছেন, ‘পাওয়ারপ্লেতে ব্যাটসম্যানদের খেলার ধরন অনেক বদলেছে। কিন্তু যা বদলায়নি তা হলো- বাউন্ডারির আকার। এলইডি বিজ্ঞাপন বোর্ডের পিছনে প্রচুর জায়গা রয়েছে, যা সরিয়ে বাউন্ডারি লাইন কয়েক মিটার বাড়ানো যেতে পারে। আমরা প্রায়ই দেখি ছক্কাগুলো কেবল বাউন্ডারি লাইন অল্পের জন্য পেরিয়ে যায়। সেটি যদি কয়েক মিটার দূরে থাকতো তাহলে হয়তো সেটি ছক্কার বদলে আউট হতে পারতো এবং বোলারদের উইকেট হিসেবে গণ্য হতো।

মুম্বাইয়ে জন্ম নেওয়া এই কিংবদন্তি ম্যাচ-পরবর্তী খেলোয়াড়দের পুরস্কারের পরিমাণ বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘আইপিএলের স্পনসরশিপ এবং অন্যান্য রাজস্বের পরিমাণ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। কিন্তু ২০০৮ সালে প্রথম আইপিএল আসর থেকে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ পুরস্কারের অর্থমূল্য এখনো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে।

গাভাস্কার আরো বলেন, এখন যেহেতু আইপিএল প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে উঠেছে, পুরস্কারের অর্থও কি আমাদের বাবা-মা যেমন স্কুলের পর কলেজে উঠলে সন্তানদের পকেট খরচ বাড়িয়ে দেন, তেমন বাড়বে?