Logo

আন্তর্জাতিক    >>   কুরস্কে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার সেনারা: ইউক্রেনের দাবি

কুরস্কে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার সেনারা: ইউক্রেনের দাবি

কুরস্কে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার সেনারা: ইউক্রেনের দাবি

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষ হয়ে লড়াই করা উত্তর কোরিয়ার সেনারা কুরস্ক অঞ্চলে পরাজয়ের মুখে পড়েছে বলে দাবি করেছে কিয়েভ। গতকাল সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ইউক্রেনীয় সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার এক বিবৃতিতে জানানো হয়, কুরস্ক অঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রামে সপ্তাহজুড়ে যুদ্ধে কমপক্ষে ৩০ জন উত্তর কোরীয় সৈন্য নিহত বা আহত হয়েছেন। এই দাবির মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার সেনাদের যুদ্ধে অংশগ্রহণ ও তাদের ক্ষয়ক্ষতির প্রথম বিস্তারিত বিবরণ সামনে এসেছে। খবর রয়টার্সের।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, "রাশিয়ার পক্ষ হয়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উত্তর কোরীয় সেনা প্রথমবারের মতো কুরস্ক অঞ্চলের যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে।" কুরস্ক অঞ্চলটি রাশিয়ার একটি সীমান্তবর্তী এলাকা, যেখানে গত আগস্টে ইউক্রেন আক্রমণ চালিয়েছিল।

ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার বিবৃতিতে বলা হয়, কুরস্ক অঞ্চলের প্লেখোভো, ভোরোজবা এবং মার্টিনোভকা গ্রামের আশপাশে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। উত্তর কোরীয় সেনারা রাশিয়ার হয়ে কৌশলগত স্থানে যুদ্ধ করলেও তাদের গুরুতর ক্ষয়ক্ষতির শিকার হতে হয়েছে।

এ ব্যাপারে ক্রেমলিন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ প্রশ্নটি পাঠানো হলেও তারাও বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেনি। এর আগে রাশিয়া কখনো উত্তর কোরীয় সেনাদের ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত বা অস্বীকার করেনি।

উত্তর কোরিয়া শুরুতে রাশিয়ার হয়ে তাদের সেনাদের অংশগ্রহণের বিষয়টিকে "ভুয়া খবর" বলে প্রত্যাখ্যান করেছিল। তবে উত্তর কোরিয়ার একজন কর্মকর্তা দাবি করেছেন যে, এই ধরনের সেনা মোতায়েন আইনসম্মত।

ইউক্রেনের দাবি, গত অক্টোবর থেকেই উত্তর কোরিয়ার সেনারা রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে নিয়োজিত রয়েছে। ইউক্রেন আরও জানায়, রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করতে মোট ১১ হাজার উত্তর কোরীয় সেনাকে মোতায়েন করা হয়েছে।

ইউক্রেনের বাহিনী প্রথমবারের মতো কুরস্ক অঞ্চলে প্রবেশ করে গত ৫-৬ আগস্ট রাতে। তারা সুডজা শহরের কাছে সীমান্ত থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে পৌঁছে যায়। এরপর থেকেই এই অঞ্চলটি সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে।

এই ঘটনাগুলো রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যকার ক্রমবর্ধমান সামরিক সহযোগিতার ইঙ্গিত দেয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, উত্তর কোরিয়ার সেনাদের অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক মহলে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করবে।