তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে আঘাত, তবে ইরানের দাবি ক্ষতি হয়নি
- By Jamini Roy --
- 19 November, 2024
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি দাবি করেছেন, চলতি মাসে ইসরায়েলের বিমান হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদানে আঘাত করেছে। তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, তবে জানিয়েছেন যে এই হামলার ফলে ইরানের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ও ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির সক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গতকাল সোমবার ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ভাষণ দিতে গিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, "এটা গোপন কিছু নয়, আমরা নিশ্চিত যে এই হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির একটি সুনির্দিষ্ট উপাদানকে লক্ষ্য করে আঘাত করেছে।" তিনি আরও বলেন, যদিও এ হামলা ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথ বন্ধ করতে সক্ষম হয়নি, তবুও তা তাদের সক্ষমতা কিছুটা কমিয়ে দিয়েছে।
১ অক্টোবর ইরান প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দিকে ছুড়েছিল। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো হামাস, হিজবুল্লাহ এবং ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) এর শীর্ষ কমান্ডারদের হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে চালানো হয়েছিল বলে দাবি করে তেহরান। তবে ইসরায়েল দাবি করেছে যে, অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই তা ভূপাতিত করা হয়েছে।
এই হামলার জবাবে ২৬ অক্টোবর, ইসরায়েল তেহরানসহ তিনটি প্রদেশে তিন দফা বিমান হামলা চালায়। এটি ছিল চলতি বছরের এপ্রিল মাসের পরবর্তী এক বৃহৎ হামলা, যেখানে তেহরানের আশপাশে রাশিয়ার তৈরি এস-৩০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়।
নেতানিয়াহু দাবি করেন যে, ২৬ অক্টোবরের হামলায় ইরানের হাতে থাকা এস-৩০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। এর আগে এপ্রিলের হামলায় ইরান তাদের রাশিয়া থেকে পাওয়া প্রথম এস-৩০০ ব্যবস্থা হারিয়েছিল, কিন্তু ইরান জানিয়েছিল তাদের কাছে আরও তিনটি এস-৩০০ ছিল।
নেতানিয়াহু বলেন, "আমরা নিশ্চিত যে ২৬ অক্টোবরের হামলায় এ তিনটি এস-৩০০ ব্যবস্থাও ধ্বংস হয়েছে।"
তবে ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ ২৬ অক্টোবরের হামলার পর দাবি করেছিলেন, "ইসরায়েলের হামলা আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির সক্ষমতায় কোন বিঘ্ন ঘটাতে পারেনি।" তিনি আরও জানান, ইরান তাদের ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন এবং পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।
এই হামলার ফলে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সরাসরি হামলা এবং পাল্টাপাল্টি আক্রমণ নতুন মাত্রা লাভ করেছে, এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই সংকটের স্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।