লেবানন-ইসরাইল যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অগ্রগতি
- By Jamini Roy --
- 19 November, 2024
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরাইল ও লেবাননের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। লেবানন সরকার এবং সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত চুক্তি গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন লেবাননের এক শীর্ষ কর্মকর্তা। তবে চুক্তিটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
এদিকে, ইসরাইলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বৈশ্বিক অবকাঠামো ও জ্বালানি নিরাপত্তাবিষয়ক বিশেষ দূত আমোস জে. হোচস্টেইন বৈরুতে এসে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যেও লেবাননে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। সোমবার রাজধানী বৈরুতের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে একাধিক বিমান হামলা চালানো হয়। এতে কয়েকজন নিহত ও বহু লোক আহত হয়েছেন।
দক্ষিণ লেবাননেও হামলার শিকার হয়েছে বেশ কিছু গ্রাম। ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে আরও ৮ জন নিহত হয়েছেন।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট করেছেন, হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাবেন। তিনি বলেন, “দেশের উত্তরাঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের সেনারা হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে থাকবে।”
পাল্টা জবাবে হিজবুল্লাহ সোমবার লেবানন থেকে ইসরাইলের দিকে প্রায় ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগ ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর। এসব হামলায় ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়।
ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলীয় শহর হাইফা এবং তেল আবিবে আঘাত হানে ক্ষেপণাস্ত্র। একটি শপিং মল, বাস এবং বিদ্যুৎ কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তেল আবিবে দেখা দিয়েছে লোড শেডিং এবং বিমান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের দাবি করেছে। তবে উত্তরাঞ্চলে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
যুদ্ধবিরতির আলোচনা সফল হলে অঞ্চলে উত্তেজনা কিছুটা কমতে পারে। তবে হামলা-পাল্টা হামলার চলমান পরিস্থিতি চুক্তি বাস্তবায়নের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই সংঘাত শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য একটি বড় পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল এখন উভয় পক্ষের থেকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নের প্রত্যাশা করছে।