Logo

রাজনীতি    >>   বাংলাদেশে পাঁচটি নতুন সংস্কার কমিশন গঠন

বাংলাদেশে পাঁচটি নতুন সংস্কার কমিশন গঠন

বাংলাদেশে পাঁচটি নতুন সংস্কার কমিশন গঠন

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে পাঁচটি নতুন সংস্কার কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন খাতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। এই পাঁচটি কমিশন গঠনের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ খাতে উন্নয়ন সাধন, সুষ্ঠু সংস্কার প্রস্তাবনা তৈরি এবং তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা। সংস্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে গণমাধ্যম, স্থানীয় সরকার, স্বাস্থ্যখাত, শ্রম এবং নারী বিষয়ক খাতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা।

গত ১৭ নভেম্বর, রবিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রধান উপদেষ্টার কাছে এসব কমিশন গঠনের সারসংক্ষেপ পাঠিয়েছে। কমিশনগুলোর কাজ শুরু হতে এখনও প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন প্রয়োজন, যার পর প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এরই মধ্যে সরকার প্রথমে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করেছে এবং এর প্রধান হিসেবে সাংবাদিক কামাল আহমেদকে নিয়োগ দিয়েছে। এটি ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিশন হবে, যার কাজ হচ্ছে গণমাধ্যমকে স্বাধীন, শক্তিশালী এবং বস্তুনিষ্ঠ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতিয়ারা নাসরিন, দি ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, নোয়াব-এর সচিব আখতার হোসেন খান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, যমুনা টেলিভিশনের নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ, মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক সাংবাদিক জিমি আমির, দ্য ডেইলি স্টারের বগুড়া জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা সবুজ, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ডেপুটি এডিটর টিটু দত্তগুপ্ত এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এই কমিশনের কাজ হবে স্বাধীন এবং বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাবনা তৈরি করা এবং তা সরকারের কাছে উপস্থাপন করা। কমিশনটি তাদের কার্যক্রম শীঘ্রই শুরু করবে এবং আগামী ৯০ দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা বরাবর জমা দেবে। গণমাধ্যম সংস্কার ছাড়াও, সরকারের পক্ষ থেকে অন্যান্য খাতের জন্য সংস্কার কমিশন গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

অন্য কমিশনগুলোও গঠন করা হয়েছে, যেমন স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন, শ্রম সংস্কার কমিশন এবং নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন। স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান দায়িত্বে থাকবেন এবং এই কমিশনের সদস্য হিসেবে আরও যোগ দেবেন পথিকৃৎ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক লিয়াকত আলী, গাইনোকোলজিস্ট অধ্যাপক সায়েবা আক্তার, শিশু স্নায়ুতন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক নায়লা জামান খান এবং সাবেক সচিব এস এম রেজা। স্বাস্থ্য খাতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে এই কমিশন কাজ করবে।

এছাড়া শ্রম বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ। এই কমিশনের সদস্যরা শ্রমিক অধিকার রক্ষা ও তাদের স্বার্থ নিশ্চিত করতে কাজ করবেন। নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে আছেন নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শিরীন পারভীন হক। কমিশনটি নারীদের অধিকার ও তাদের উন্নয়ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবনা দেবে।

এই পাঁচটি কমিশনের কাজ হবে নির্দিষ্ট খাতের উন্নয়ন এবং সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তাবনা তৈরি করা এবং ৯০ দিনের মধ্যে তা প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া। সরকারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, প্রতিটি কমিশনকে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত এবং অন্যান্য সহায়তা দেওয়া হবে যাতে তারা তাদের কাজটি সঠিকভাবে করতে পারে।

প্রতিটি কমিশনকে অনুমোদিত সরকারের পদমর্যাদা, বেতন, সম্মানী এবং সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। তবে, যদি কোনো কমিশন সদস্য বা প্রধান চান না, তারা এসব সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন না। কমিশনের কার্যালয় সরকারের পক্ষ থেকে নির্ধারিত হবে এবং সেগুলোর কার্যক্রম তদারকি করবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।

এটি সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা দেশের বিভিন্ন খাতে সংস্কার আনার মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করবে। এই পদক্ষেপটি দেশের উন্নয়নের নতুন এক দিগন্ত উন্মোচন করবে, যা ভবিষ্যতে দেশের সমাজ এবং অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert