Logo

আন্তর্জাতিক    >>   রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের সুমিতে ১০ জন নিহত

রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের সুমিতে ১০ জন নিহত

রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের সুমিতে ১০ জন নিহত

রাশিয়া গত রবিবার রাতে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর সুমিতে একটি ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, যার ফলে দুই শিশুসহ অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। এ হামলায় আরও ৫৫ জন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে আটটি শিশু রয়েছে। সুমি শহরের একটি ৯ তলা আবাসিক ভবনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে, যা শহরের জীবনযাত্রাকে চরম বিপর্যস্ত করে তোলে। হামলার পর সুমি সিটি কাউন্সিল তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে জানায়, আহতদের মধ্যে অনেকেই গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন।

সুমি শহরের সামরিক প্রশাসনের প্রধান ভলোদিমির আর্টিউখ এই হামলার পরে এক পোস্টে উল্লেখ করেন, "রবিবার সন্ধ্যায় সুমি শহর নরকে পরিণত হয়েছিল, রাশিয়া আমাদের এই ভূমিতে এক তীব্র ট্র্যাজেডি নিয়ে এসেছে।" তিনি বলেন, শহরটি রাশিয়ার নিক্ষিপ্ত আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্রের কারণে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। ফলে, সুমির বাসিন্দারা অন্ধকারে এবং বিপর্যস্ত অবস্থায় দিনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। এ হামলা ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার সবচেয়ে বড় আক্রমণ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।

এদিকে, একই দিনে রাশিয়া ইউক্রেনে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে ১২০টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং প্রায় ১০০টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়া কিয়েভ, মিকোলাইভ, লিভ, খেরসন, নিপ্রোপেত্রভস্ক এবং ওডেসা অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে, যার ফলে আরও কয়েকজন নিহত হয়েছে এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন। ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, তারা ১৪৪টি রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন প্রতিহত করেছে, তবে হামলার তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে, ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চল বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

ইউক্রেনের নেতৃবৃন্দ এই হামলাকে "নারকীয়" হিসেবে আখ্যা দিয়েছে, বিশেষ করে যখন তারা পূর্বাঞ্চলে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে অগ্রগতি অর্জন করছে। হামলার পেছনে বিশেষ রাজনৈতিক কারণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলও অন্যতম কারণ হতে পারে, কারণ শঙ্কা রয়েছে যে, আগামীতে কিয়েভের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন কমে যেতে পারে।

এ হামলা রাশিয়ার একটি বড় প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে, যখন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিগা বলেছেন, সম্প্রতি যারা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, তাদের জন্য এটি একটি প্রকৃত জবাব। তিনি উল্লেখ করেছেন, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ সম্প্রতি পুতিনকে ফোন করে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিলেন, কিন্তু রাশিয়া তা অগ্রাহ্য করে এ হামলা চালিয়েছে। সিবিগা বলেন, ইউক্রেন শান্তি ফিরিয়ে আনতে চায়, তবে তারা কখনোই শান্তির জন্য অন্যদের খুশি করার চেষ্টা করবে না।

এ ঘটনার পর, ইউক্রেনের জনগণ এবং সরকার রাশিয়ার হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং এর বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিরোধ চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সুমি শহরের হামলা ইউক্রেনের জন্য নতুন একটি কষ্টকর অধ্যায়, যেখানে শরণার্থী, নিহত এবং আহতদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert