লেবানন-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে ইরানের সমর্থন
- By Jamini Roy --
- 17 November, 2024
ইরান লেবাননের ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে যেকোনো সিদ্ধান্তকে সমর্থন দেবে বলে জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উপদেষ্টা আলি লারিজানি। শুক্রবার তিনি লেবানন সফরকালে বৈরুতে লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি এবং পার্লামেন্ট স্পিকার নাবিহ বেরির সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈরুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে লারিজানি বলেন, ইরান লেবাননের জনগণ ও সরকারের প্রতি তার সমর্থন অব্যাহত রাখবে এবং যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে বাধা না দিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবে। লারিজানি হিজবুল্লাহকে একটি "জ্ঞানী আন্দোলন" হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, "লেবানিজরা জানে কী পদক্ষেপ নিতে হবে।"
এই মন্তব্যের আগে লেবাননের পার্লামেন্ট স্পিকার নাবিহ বেরি যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির খসড়া প্রস্তাব নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। প্রস্তাবটি ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার অংশ। তবে এই প্রস্তাবে কী রয়েছে, তা এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
যুদ্ধবিরতির আলোচনা চললেও ইসরায়েল লেবাননে হামলা অব্যাহত রেখেছে। শুক্রবার বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিসহ বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, হামলাগুলো হিজবুল্লাহর অস্ত্র গুদাম এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে ধারণ করা ভিডিওতে ভবন ধসে পড়ার দৃশ্য এবং বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। ইসরায়েলি বাহিনী বলছে, দাহিয়েহ ও তাইয়ুনেহ এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বড় আকারের হামলা চালানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যকার লড়াইয়ে লেবানন ৮৫০ কোটি ডলারের সরাসরি ও অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লেবাননের আবাসন খাত, যেখানে প্রায় ১ লাখ আবাসন ইউনিট আংশিক বা পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে।
লারিজানি বলেন, "আমি যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের লাগাম টানতে আসিনি, বরং লেবাননের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাতে এসেছি।" তিনি আরও জানান, ইরান লেবানন সরকারের সঙ্গে কাজ করে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত।