ট্রাম্পের সঙ্গে নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ
- By Jamini Roy --
- 16 November, 2024
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত কয়েক দিনে তিনবার সরাসরি কথা বলেছেন। তাঁদের আলোচনায় ইরান, শান্তি প্রচেষ্টা, ও আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, "আমাদের মধ্যে ভালো ও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। আমরা ইরানের সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় এবং শান্তি প্রচেষ্টায় একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছি।"
নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের আলোচনায় ইরানের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ও হুমকির বিষয়টি ছিল কেন্দ্রীয়। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক মৈত্রী আরও দৃঢ় করতে তাঁরা একমত হয়েছেন। বিশেষ করে ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম এবং আঞ্চলিক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সহায়তা নিয়ে দুই দেশই সতর্ক।
৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক নতুন অধ্যায় শুরু করতে পারে। নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি দেশটির পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। ফলে দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের আরও শক্তিশালী ক্ষমতা নিশ্চিত হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে গাজার যুদ্ধ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। গত এক বছরে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪৩,৭৬৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,০৩,৪৯০ জন আহত হয়েছেন। ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে হামাস ও গাজার অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসরায়েলে আক্রমণ চালায়, যাতে ১,১৩৯ জন নিহত হন এবং দুই শতাধিককে জিম্মি করা হয়।
পরবর্তীতে ইসরায়েল পাল্টা হামলা শুরু করে, যা গাজা, পশ্চিম তীর, লেবানন, ইরান, সিরিয়া, এবং ইরাক পর্যন্ত বিস্তৃত।
সম্প্রতি ইসরায়েল লেবাননে তার হামলা জোরদার করেছে। সেখানে এখন পর্যন্ত ৩,৪৪৫ জন নিহত এবং ১৪,৫৯৯ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েল-ইরান দ্বন্দ্বও সংঘাতপূর্ণ রূপ নিয়েছে, যেখানে উভয় পক্ষই পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েল ইরাক, ইয়েমেন এবং সিরিয়ার ওপর নিয়মিতভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলের দাবি, এই অঞ্চলগুলো থেকে ইসরায়েলের ওপর সরাসরি আক্রমণের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াবে, তা এখনো অনিশ্চিত। তবে ইসরায়েলের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে নতুন পরিবর্তন আনতে পারে।