লেবাননের যেকোনো যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তকে সমর্থন দেবে ইরান
- By Jamini Roy --
- 16 November, 2024
ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির যেকোনো সিদ্ধান্তে লেবাননকে সমর্থন দেবে ইরান। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) এই ঘোষণা দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার উপদেষ্টা আলি লারিজানি। এই বিবৃতির মাধ্যমে তেহরান ইঙ্গিত দিয়েছে, ইরান যুদ্ধ বন্ধে লেবাননের সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দেবে। লেবাননে ইসরাইলি হামলার মধ্যে দিয়ে এই বার্তা আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
বৈরুত সফরকালে লেবাননের পার্লামেন্ট স্পিকার নাবিহ বেরির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন লারিজানি। বৈঠকের সময় বেরি যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির খসড়া নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন। খসড়াটি সম্প্রতি লেবাননে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত স্পিকারের কাছে হস্তান্তর করেন।
লারিজানি বলেন, "যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে আমি কোনো বাধা দিতে আসিনি। বরং, লেবাননের নেওয়া যেকোনো সিদ্ধান্তে আমরা পূর্ণ সমর্থন দেব।" ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকেও ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনার জন্য লেবানন সরকারকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে।
এই আলোচনার মধ্যেই লেবাননে ইসরাইলি সেনাবাহিনী হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) ইসরাইলি যুদ্ধবিমান বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে দাহিয়েহ ও তাইয়ুনেহসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বিমান হামলা চালায়। এতে অনেক ভবন ধসে পড়েছে এবং হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানায়, তাদের গোয়েন্দা সংস্থার নির্দেশে এই হামলা চালানো হয়েছে। তারা দাবি করেছে, হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা বেসামরিক লোকদের মধ্যে লুকিয়ে থাকায় সেসব স্থানে হামলা করা হয়েছে।
ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় হিজবুল্লাহ পাল্টা আঘাত হানছে। সংগঠনটি লেবাননে অভিযানরত ইসরাইলি সেনাসদস্যদের হত্যা করার পাশাপাশি ইসরাইলের ভেতরের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে।
ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যকার এই সংঘাত অনেক দিন ধরেই চলমান। বিশেষ করে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর পর সংঘাত আরও তীব্র হয়েছে। এ বছরের সেপ্টেম্বরে ইসরাইল লেবাননে হামলার মাত্রা আরও বাড়ায়।
এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং ইরানের সমর্থন সংঘাত সমাধানে একটি নতুন পথ তৈরি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে প্রস্তাবের বিস্তারিত এখনো প্রকাশিত হয়নি।