Logo

রাজনীতি    >>   বিতর্কিত ব্যক্তিদের নিয়োগে নির্বাচন বিলম্বিত হতে পারে: জয়নুল আবদিন ফারুক

বিতর্কিত ব্যক্তিদের নিয়োগে নির্বাচন বিলম্বিত হতে পারে: জয়নুল আবদিন ফারুক

বিতর্কিত ব্যক্তিদের নিয়োগে নির্বাচন বিলম্বিত হতে পারে: জয়নুল আবদিন ফারুক

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক মন্তব্য করেছেন, বিতর্কিত ব্যক্তিরা সরকারে দায়িত্ব গ্রহণ করলে তা দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করতে পারে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ফারুক বলেন, "বিতর্কিত ব্যক্তিদের ষড়যন্ত্রের ফলে নির্বাচন যদি বিলম্বিত হয়, তা হতে পারে না। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, যেন এমন কিছু ঘটতে না পারে যা জনগণের মধ্যে অবিশ্বাস সৃষ্টি করবে।" তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মধ্যে নানা ষড়যন্ত্র চলছে, যার মাধ্যমে সরকারকে ব্যর্থ ও বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এদিকে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঠাকুরগাঁও জেলার নিজ বাসভবনে মতবিনিময় সভায় বলেন, "প্রধান উপদেষ্টা নিজের এখতিয়ার অনুযায়ী উপদেষ্টা নিয়োগ করবেন, তবে তাদের নির্বাচন এবং রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত কর্মকাণ্ডে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। বিতর্কিত ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হতে দেওয়া উচিত নয়।" তিনি আরো যোগ করেন, "আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই, যাতে জনগণ তাদের ভোটাধিকার সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করতে পারে।"

মির্জা ফখরুল বলেন, "আমরা আন্দোলনের অংশীদার, তবে সরকারকে আমাদের সতর্ক করে দেওয়া উচিত যে তাদের পদক্ষেপগুলো যেন জনগণের আস্থা হারানোর কারণ না হয়।" তিনি আরও বলেন, "আমাদের দাবি হল নির্বাচনের রোডম্যাপ এবং সংস্কার চলবে, তবে সেগুলো যেন বিতর্কিত ব্যক্তি দ্বারা প্রভাবিত না হয়।"

এই সময়, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক আরও বলেন, "তাদের (অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের) উচিত এমন পদক্ষেপ না নেয়া, যা জনগণকে আবার নিজেদের বিরুদ্ধে মোড়ে ফেলতে পারে। বিতর্কিত ব্যক্তিরা প্রশাসনে গেলে, আওয়ামী লীগের দোসররা মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব নিলে, তা সম্ভব না। আমাদের উচিত এটিকে স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেয়া।"

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ফারুক বলেন, "দেশ আজ ষড়যন্ত্রের মুখে রয়েছে। যদিও আমরা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি, যার ফলে অনেক প্রাণ দিয়েছে, ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। আমাদের সকলকে সজাগ থাকতে হবে, যাতে দেশে আবার কোনো স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠিত না হয়।"

তিনি আরও বলেন, "বর্তমান সরকারকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে একটি গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করার জন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে।" তিনি উদাহরণ হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করেন এবং বলেন, "এমন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের দাঁড়াতে হবে, যাতে আমাদের দেশেও তা ছড়িয়ে না পড়ে।"

এই বক্তব্যে বিএনপি নেতারা জনগণকে জানিয়ে দিতে চান যে, তারা সরকারের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে আছেন। তাদের উদ্দেশ্য একটাই: দেশকে একটি গণতান্ত্রিক এবং সমৃদ্ধ জাতিতে পরিণত করা।





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert