Logo

রাজনীতি    >>   বঙ্গবন্ধুর ছবি নিয়ে বক্তব্যে রিজভীর দুঃখ প্রকাশ

বঙ্গবন্ধুর ছবি নিয়ে বক্তব্যে রিজভীর দুঃখ প্রকাশ

বঙ্গবন্ধুর ছবি নিয়ে বক্তব্যে রিজভীর দুঃখ প্রকাশ

বঙ্গভবন থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানোর ইস্যুতে বিতর্কের মুখে পড়ে নিজের বক্তব্য সংশোধন করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেনের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের ভুল বোঝাবুঝির জন্য তিনি দুঃখিত।

রিজভী তাঁর বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, “সকালে একটি অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্য নিয়ে ‘বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি সরানো উচিত হয়নি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। আসলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে আমি বলেছিলাম, বঙ্গভবনের দরবার কক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি সরানো উচিত হয়নি। কিন্তু পরে জানতে পারি, মূলত ছবিটি সরানো হয়েছিল বঙ্গভবনের অন্য একটি অফিস কক্ষ থেকে, দরবার কক্ষ থেকে নয়।”

রিজভী আরও বলেন, “শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনে বাধ্যতামূলকভাবে বঙ্গবন্ধুর ছবি রাখার আইন করা হয়েছে। এ ধরনের আইন জনগণের স্বাধীনতায় বাধা। দুঃশাসনের চিহ্ন সরিয়ে ফেলা উচিত।” তিনি বলেন, বক্তব্যে ভুল বোঝাবুঝির জন্য তিনি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী বলেন, “জাতীয় পর্যায়ে অবদানের কথা সঠিকভাবে স্বীকার করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করেছেন, তবে তাঁর শাসনামলে বাকশালের মতো একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, যা গণতন্ত্রের বিরোধী।”

রিজভী বলেন, “১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের পর খন্দকার মোশতাক বঙ্গবন্ধুর ছবি সরিয়ে ফেলেছিলেন। এরপর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে পুনরায় বঙ্গভবনে বঙ্গবন্ধুর ছবি স্থাপন করেন।” তিনি উল্লেখ করেন, ইতিহাসে যার অবদান যতটুকু, সেটি স্বীকার করা উচিত।

বঙ্গভবনের দরবার কক্ষ থেকে শেখ মুজিবের ছবি সরানো হয়েছে বলে একাধিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে, রিজভীর দৃষ্টি আকর্ষণ হয়। তিনি জানান, বঙ্গভবনের দরবার হলে সব রাষ্ট্রপতির ছবি থাকে এবং তিনি ভেবেছিলেন সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি সরানো হয়েছে। পরে বুঝতে পারেন, ছবিটি সরানো হয়েছে বঙ্গভবনের অন্য একটি অফিস কক্ষ থেকে।

এছাড়াও রিজভী দাবি করেন, “শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনে বঙ্গবন্ধুর ছবি রাখার বাধ্যতামূলক আইন করা হয়েছে, যা ফ্যাসিবাদী মনোভাবের প্রতিফলন। এটি একটি অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত।” তাঁর মতে, গণতান্ত্রিক পরিবেশে এমন বাধ্যতামূলক চিহ্ন রাখা উচিত নয়।

বিএনপির সিনিয়র নেতা রিজভী এদিন বক্তব্যে বর্তমান সরকারের গঠন ও কার্যক্রম নিয়েও কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অবদানের প্রমাণ নেই এমন ব্যক্তিরা বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা ও সচিব পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তাদের জনগণের প্রতি কোন দায়িত্ব নেই এবং তারা জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের চেতনা ধ্বংস করতে তৎপর।”

তিনি আরো অভিযোগ করেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক কার্যকলাপ বিএনপি সমর্থকদের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণের দৃষ্টান্ত। রিজভী বলেন, “স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও সচিব বিএনপির সমর্থিত চিকিৎসকদের সঙ্গে অবজ্ঞাসূচক আচরণ করছেন। এসব দেখে জাতীয়তাবাদী শক্তির অনুসারীরা দুঃখিত হন। দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মদানকারী ও আন্দোলনের নেতাকর্মীদের অবদান এই সরকার অবজ্ঞা করছে।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফরহাদ হালিম এবং স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা এই বিষয়ে একমত পোষণ করেন।

বঙ্গভবন থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি সরানো নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির জন্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং জনসাধারণকে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert