Logo

আন্তর্জাতিক    >>   ট্রাম্পের জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে এলিস স্টেফানিকের মনোনয়ন

ট্রাম্পের জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে এলিস স্টেফানিকের মনোনয়ন

ট্রাম্পের জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে এলিস স্টেফানিকের মনোনয়ন

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে কংগ্রেস সদস্য এলিস স্টেফানিককে মনোনয়ন দিয়েছেন। এই পদে নিয়োগ পেলে, তিনি জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। এলিস স্টেফানিক, নিউইয়র্কের একজন রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ নাম।

এলিস স্টেফানিককে মনোনয়ন দেয়ার পর, ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, "এলিস একজন অবিশ্বাস্যভাবে শক্তিশালী, কঠোর এবং স্মার্ট আমেরিকান। তিনি সম্মুখসারির যোদ্ধা, যিনি বিশ্ব মঞ্চে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা করবেন।" ট্রাম্প আরও বলেন, "আমার পরবর্তী প্রশাসনে তাকে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি।"

এলিস স্টেফানিকের জন্য এই মনোনয়ন এসেছে এমন একটি সময়ে, যখন বৈশ্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটময়, বিশেষত ইউক্রেনের পরিস্থিতি এবং মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে। এই পদে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য তাকে সিনেটের সমর্থনও প্রয়োজন হবে, কারণ সিনেটরদের অনুমোদন ছাড়াই তিনি এই পদে নিয়োগ হতে পারবেন না।

২০১৪ সালে মাত্র ৩০ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এলিস স্টেফানিক, যেটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। তিনি তখন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী নারী কংগ্রেস সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। প্রথম দিকে মধ্যপন্থী রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত হলেও, তিনি ধীরে ধীরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশ্বস্ত সমর্থক হয়ে ওঠেন।

স্টেফানিক, ইসরায়েল এবং জাতিসংঘের বিষয়েও দৃঢ় অবস্থান নেন। ইসরায়েলকে তার কট্টর সমর্থক হিসেবে পরিচিত, এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে জাতিসংঘ পর্যাপ্ত সহায়তা দেয়নি বলে তিনি বিশ্ব সংস্থাকে সমালোচনা করেছেন। এছাড়া, ২০১৯ সালে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়ার সময় তিনি ট্রাম্পের পক্ষে অবস্থান নেন এবং তাকে 'রিপাবলিকান স্টার' বলে অভিহিত করেন।

জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি বিশ্বের এক গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক হাতিয়ার। স্টেফানিকের মতো একজন শক্তিশালী, অভিজ্ঞ রাজনীতিক এই পদে নিয়োগ পাওয়ার মাধ্যমে, মার্কিন প্রশাসন আরও শক্তিশালী ও প্রভাবশালী পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়ন করতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এলিস স্টেফানিকের বৈদেশিক নীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা খুব বেশি না হলেও, তিনি প্রতিনিধি পরিষদের গোয়েন্দাবিষয়ক হাউস আর্মড সার্ভিস কমিটি ও হাউস পারমানেন্ট সিলেক্ট কমিটিতে কাজ করেছেন। ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সমস্যা মোকাবেলায় তার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।

এছাড়া, ট্রাম্প তার পরবর্তী প্রশাসনে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত সুরক্ষা ও অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের জন্য টম হোমানকে নিয়োগ দিয়েছেন, যিনি একজন কট্টর অভিবাসীবিরোধী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত। হোমানকে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, এবং ট্রাম্প তাকে 'আইসিই' এর সাবেক পরিচালক হিসেবে অভিহিত করেছেন।

এলিস স্টেফানিকের জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন প্রক্রিয়া এখনও সম্পূর্ণ হয়নি, কারণ তাকে এখন সিনেটের অনুমোদন পেতে হবে। তবে তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, বিদেশনীতি ও নিরাপত্তা ইস্যুতে কাজ করার অভিজ্ঞতা তাকে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রতিষ্ঠিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এলিস স্টেফানিকের মনোনয়নটি রিপাবলিকানদের কাছে একটি বড় সাফল্য, বিশেষত যখন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির ভবিষ্যৎ এক নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে পুনর্নির্মাণের প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert