অবৈধ অভিবাসীদের তাড়াতে টম হোমানকে নিয়োগ ট্রাম্পের
- By Jamini Roy --
- 11 November, 2024
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুসারে দেশটিতে ‘সবচেয়ে বড় নির্বাসন অভিযান’ চালানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। রোববার (১০ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, তিনি সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও অভিবাসন বিশেষজ্ঞ টম হোমানকে তাঁর প্রশাসনে সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই পদে নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার অন্যতম প্রধান ইস্যু—অবৈধ অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিদায় করার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে চেয়েছেন।
ট্রাম্প জানান, ‘‘আমি ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে, আইসিইর সাবেক পরিচালক ও সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে এক কিংবদন্তি, টম হোমান, আমাদের জাতীয় সীমান্তের দায়িত্ব নিতে ট্রাম্প প্রশাসনে যোগ দিচ্ছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘টমকে আমি বহু বছর ধরে চিনি এবং সীমান্তে পুলিশিং কার্যক্রম পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণে তার চেয়ে ভালো কেউ নেই।’’ ট্রাম্পের মতে, হোমান অবৈধ অভিবাসীদের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর দায়িত্ব পালন করবেন, যা তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার অন্যতম শীর্ষ ইস্যু ছিল।
ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় অভিবাসনবিরোধী বক্তব্য বরাবরই শিরোনাম হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা প্রতি বছর ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেব।’’ ট্রাম্প তাঁর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ক্ষমতায় এসে অবৈধ অভিবাসীদের ‘রক্তপিপাসু’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন এবং তাদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে তিনি তাদের বিদায় দেওয়ার পক্ষপাতি ছিলেন।
এবার, ট্রাম্পের প্রশাসন ‘অপারেশন অরোরা’ নামক একটি অভিযানে নেমে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়া লাখো অবৈধ অভিবাসীকে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। সাবেক আইস কর্মকর্তা টম হোমান এই অভিযানে নেতৃত্ব দেবেন। এই অভিযানের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন ১৭৯৮ সালের ‘এলিয়েন শত্রু আইন’ অনুযায়ী লক্ষ লক্ষ অবৈধ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করার পরিকল্পনা করেছে। এই আইনের আওতায় শত্রু দেশ থেকে আসা লোকজনকে আটক করে দেশে ফেরত পাঠানোর ক্ষমতা রাখে সরকার।
হোমান, যিনি আগে আইস (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) এজেন্সির পরিচালক ছিলেন, ওবামা প্রশাসনেও আইসের নির্বাহী সহযোগী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছিলেন। এখন তিনি ট্রাম্পের ‘বর্ডার জার’ বা সীমান্ত সম্রাট হিসেবে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, হোমান মার্কিন সীমান্তের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করবেন এবং অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশটিতে এক কোটিরও বেশি অবৈধ অভিবাসী বসবাস করছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে, ট্রাম্প প্রশাসন আগামীদিনে দেশটির অভিবাসন ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করছে।