ইসরাইলি হামলায় গাজায় নিহত বেড়ে ৪৩ হাজার ৫৫০
- By Jamini Roy --
- 10 November, 2024
গাজায় ইসরাইলি হামলা অব্যাহত থাকার ফলে একদিনে আরও ৪৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলমান হামলায় গাজায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ হাজার ৫৫০ জনে পৌঁছেছে। এই সময়ে আহত হয়েছেন ১ লাখেরও বেশি মানুষ।
শুক্রবার (৯ নভেম্বর) ইসরাইলি বাহিনী গাজার আল আকসা হাসপাতালে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের ওপর হামলা চালায়। দেইর আল বালাহ অঞ্চলে এই হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত ও আরও অনেকেই আহত হন। হামলায় নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু, যাদের প্রায় ৪৪ শতাংশ শিশু এবং ২৬ শতাংশ নারী। বেশিরভাগ শিশু নিহত হয়েছেন ৫ থেকে ৯ বছরের মধ্যে। জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরাইলের বিমান হামলার কারণে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বিপুল সংখ্যক প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে।
এদিকে, গাজায় চলমান বর্বর হামলার মধ্যেই কাতার ঘোষণা করেছে যে তারা যুদ্ধবিরতি মধ্যস্থতা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে। কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কাতার দুই পক্ষ—ইসরাইল ও হামাস—কে জানিয়েছে যে যতদিন তারা আন্তরিকভাবে যুদ্ধবিরতির চুক্তি মেনে চলবে না, ততদিন দোহা কোনো ধরনের মধ্যস্থতা করবে না।
কাতার সম্প্রতি হামাসের নেতাদের আশ্রয় না দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানে সাড়া দিয়ে হামাসকে দেশ থেকে বের করে দিয়েছে। সিএনএন জানায়, কাতারের এই পদক্ষেপ ইসরাইলি বন্দীদের ফেরত দেওয়ার প্রস্তাবে হামাসের অনীহার কারণে নেওয়া হয়েছে।
গাজায় ইসরাইলি হামলার কারণে অনেক স্থান এখনও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বেশ কয়েকজন এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকর্মীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। বর্তমানে গাজার বিভিন্ন এলাকায় ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।
ইসরাইলি বাহিনী হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন স্থানে বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এই হামলায় গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরাইল গাজার উপর আরও কঠোর হামলা চালাচ্ছে, যার ফলে শহরটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।