বিএনপি দীর্ঘ ১৭ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রামের পর ৭ নভেম্বর, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ঢাকা শহরে একটি ঐতিহাসিক শোভাযাত্রা আয়োজন করতে যাচ্ছে। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হওয়া এই শোভাযাত্রায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লাখো নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করবেন। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকাল থেকে দলের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে নয়াপল্টনের উদ্দেশ্যে আসতে শুরু করেছেন, স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে নাইটিংগেল মোড়, ফকিরাপুল এবং আশপাশের এলাকা।
দলের সূত্র মতে, র্যালিতে ১০ লাখ মানুষের সমাগমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এই শোভাযাত্রার উদ্বোধন করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শোভাযাত্রার পরিপ্রেক্ষিতে নেতারা জানিয়েছেন, এটি দেশের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় এবং ঐতিহাসিক শোভাযাত্রা হবে, যা অন্তর্বর্তী সরকারকে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠাবে।
শোভাযাত্রার রোডম্যাপ অনুযায়ী, র্যালিটি নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল মোড়, কাকরাইল মসজিদ, মৎস্য ভবন মোড়, ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের সামনে দিয়ে শাহবাগ মোড়ে যাবে। এরপর হোটেল শেরাটন (বর্তমানে ইন্টারকন্টিনেন্টাল) হয়ে বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউতে গিয়ে শেষ হবে।
এদিকে, বিএনপি বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা এবং অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। শুক্রবার দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে র্যালি শুরু হবে।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী গণমাধ্যমে জানান, ঢাকা বিভাগের প্রত্যেকটি জায়গা থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে র্যালিতে যোগ দিচ্ছেন এবং দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকেও নেতাকর্মীরা আসছেন। তিনি আরও জানান, নয়াপল্টনে মঞ্চ নির্মাণের কাজও সম্পন্ন হয়েছে এবং আজকের শোভাযাত্রা হবে স্মরণকালের ঐতিহাসিক র্যালি।
বিএনপির এই ঐতিহাসিক শোভাযাত্রা রাজনৈতিক মহল এবং দেশের সাধারণ জনগণের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিতে যাচ্ছে, যা ভবিষ্যতে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।