ইসরায়েলি ১৩০ রিজার্ভ সেনার গাজায় যুদ্ধ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত
- By Jamini Roy --
- 26 October, 2024
ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরও যুদ্ধে যোগ দেওয়ার ডাক না পেয়ে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে গাজায় যুদ্ধে যান ইয়োতাম ভিল্ক। সেখানে তিনি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে ২৩০ দিন কাটিয়েছেন। তবে এখন তিনি আর গাজায় যেতে চান না।
এ বছরের গ্রীষ্মে দ্বিতীয় দফায় গাজায় সেনাদের সঙ্গে কাজ করার পর ইয়োতাম সেখানে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “সরকার যদি আবার ডাকে, তবুও আমি যাব না।” তাঁর মতে, গাজায় সামরিক পদক্ষেপ জরুরি হতে পারে, তবে তা কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার সহায়ক হিসেবে হওয়া উচিত ছিল। ইয়োতামের বিশ্বাস, গাজায় ধ্বংসযজ্ঞের ফলে ফিলিস্তিনিদের জীবন আরও কঠিন হয়েছে এবং জিম্মিদের মুক্তি আরও জটিল হয়ে গেছে।
৯ অক্টোবর, ইয়োতামসহ ইসরায়েলের ১৩০ জন রিজার্ভ সেনা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের কাছে খোলা চিঠি দেন। তাঁরা বলেন, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ এবং হামাসের হাতে বন্দি থাকা ১০১ জন জিম্মিকে মুক্ত করার জন্য চুক্তি সই না হলে তাঁরা আর সরকারের হয়ে কাজ করবেন না। চিঠিতে তাঁরা উল্লেখ করেন, “অনেকের ক্ষেত্রেই সীমারেখা ইতোমধ্যে অতিক্রান্ত হয়েছে, আবার অনেকেই সীমারেখার কাছে পৌঁছেছে। আমরা ভাঙা মন নিয়ে এ সেবা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।”
ইয়োতাম জানান, এ সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ছিল না, কিন্তু তিনি আরেকটি দখলদারির যুদ্ধে অংশ নিতে চান না। নেতানিয়াহু ও তাঁর মন্ত্রিসভার গাজায় ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা সম্পর্কে তাঁর সন্দেহ রয়েছে। ইয়োতাম বলেন, “তাঁরা আমাকে এমন এক ভয়ানক পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। আমি নিজ সরকারের কাছে প্রতারিত বোধ করছি।”
ইয়োতামই একমাত্র নন, লেবানন সীমান্তে ৬৬ দিন দায়িত্ব পালন করা মার্ক ক্রেসও যুদ্ধে ফিরতে চান না। তিনি বলেন, বাড়ি ফেরার পর থেকে বিষণ্নতায় ভুগছেন এবং মানিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছে।
এই চিঠির মাধ্যমে এই সেনারা সরকারকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে, যুদ্ধের চেয়ে শান্তি ও কূটনৈতিক সমাধানই তাদের অগ্রাধিকার।