ইরানে ইসরায়েলের প্রতিশোধ কতটা ভয়ানক হতে পারে?
- By Jamini Roy --
- 22 October, 2024
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত আরও গভীর রূপ ধারণ করেছে, যেখানে ইসরায়েল হামাস, হিজবুল্লাহ ও ইরানের শীর্ষ রাজনৈতিক এবং সামরিক নেতাদের হত্যার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। এর জবাবে, ইরান এ মাসের শুরুতে ইসরায়েলে মিসাইল হামলা চালিয়েছে। এতে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক উত্তেজনা তীব্র হয়ে উঠেছে এবং অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠছে, এরপর কী ঘটতে পারে।
ইরানের এই প্রতিশোধ মূলত ইসরায়েলের হত্যাকাণ্ডের জবাব হিসেবে দেরিতে হলেও এসেছে। এর মাধ্যমে ইরানের জনগণের অসন্তোষ কিছুটা প্রশমিত হয়েছে। তবে প্রশ্ন এখন ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে তা নিয়ে। বিশেষ করে তেহরান এখন স্পষ্টতই হুঁশিয়ারি দিচ্ছে যে তারা যেকোনো ইসরায়েলি হামলার পাল্টা কঠোর জবাব দেবে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এ মাসের শুরুতে সতর্ক করে বলেছেন, ‘ইসরায়েল যদি আক্রমণ চালায়, তাহলে আমরা শক্তিশালী এবং নির্ভীক প্রতিশোধ নেব।’ ইরান ইতোমধ্যেই ওয়াশিংটনের মাধ্যমে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে, বেসামরিক স্থাপনাসহ যেকোনো লক্ষ্যবস্তুকে আক্রমণ করে পাল্টা প্রতিশোধ নেওয়া হবে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইসরায়েলের প্রতিশোধ ইরানের ওপর বেশ ভারী হতে পারে, এবং ইরানকে সেই আক্রমণের পুরো দায়ভার বহন করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা ইসরায়েলকে সমর্থন দিতে পারে। এর আগে ইসরায়েল সাইবার হামলার মাধ্যমে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে, এমনকি ইরানের পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও সামরিক কর্মকর্তাদের হত্যার ঘটনাও ঘটেছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সতর্ক করে বলেছেন, যদি কোনো আরব দেশ ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে ইরানে হামলা চালায়, তেহরান তাদের প্রতিশোধ নেবে। ইসরায়েল যদি খার্গ দ্বীপের জ্বালানি তেলের স্থাপনায় হামলা করে, তবে সেটা ইরানের অর্থনীতিতে বড় আঘাত হানতে পারে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরানের মূল দুর্বলতা তার আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থায়। ইসরায়েল যদি পূর্ণমাত্রায় হামলা চালায়, তাহলে ইরান সেটা ঠেকাতে ব্যর্থ হতে পারে।