বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন এবং সেখানে থাকবেন বলে নিশ্চিত করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বৃহস্পতিবার এক সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, "নিরাপত্তার কারণে খুব অল্প সময়ের নোটিশে শেখ হাসিনা ভারতে চলে এসেছিলেন, এবং এখনো আছেন।"
শেখ হাসিনার অবস্থান নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। কিছু গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছিল, তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলে গেছেন অথবা ভারত তাঁর জন্য ‘ট্রাভেল ডকুমেন্ট’ ইস্যু করেছে। তবে রণধীর জয়সোয়াল নিশ্চিত করেন যে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভারতে আছেন এবং নিরাপত্তাজনিত কারণেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের একাধিক প্রশ্নের জবাব দেন রণধীর জয়সোয়াল। তিনি জানান, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তাঁদের ১৮ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে হাজির করার নির্দেশ রয়েছে। এ বিষয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মুখপাত্র বলেন, "আমরা এই প্রতিবেদন দেখেছি," তবে এর বাইরে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
বাংলাদেশে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ও ১৭ মার্চসহ ৮টি জাতীয় দিবস বাতিলের বিষয়ে ভারতের মনোভাব কী জানতে চাইলে জয়সোয়াল কোনো মন্তব্য করেননি।
শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকে বাংলাদেশিদের জন্য ভারতের ভিসাপ্রক্রিয়া এখনও স্বাভাবিক হয়নি। এ বিষয়ে জয়সোয়াল জানান, জরুরি প্রয়োজন ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে সীমিত আকারে ভিসা দেওয়া হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হলে পরিস্থিতি অনুযায়ী ভিসাপ্রক্রিয়াও স্বাভাবিক হবে।
সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ ও দুর্গাপূজার মণ্ডপে হামলার প্রসঙ্গে ভারত আগেই একটি বিবৃতি দিয়েছিল, যেখানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। জয়সোয়াল বলেন, "বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে।"