Logo

আন্তর্জাতিক    >>   দক্ষিণ সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা এবং নাগরিকত্ব নীতিতে পরিবর্তন

দক্ষিণ সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা এবং নাগরিকত্ব নীতিতে পরিবর্তন

দক্ষিণ সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা এবং নাগরিকত্ব নীতিতে পরিবর্তন

যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। এর মধ্যে দক্ষিণ সীমান্তে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা এবং জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নীতিতে পরিবর্তন অন্যতম। মঙ্গলবার (২০ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

স্থানীয় সময় সোমবার (২০ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমেই দক্ষিণ সীমান্তে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেন। শপথ গ্রহণের আগে থেকেই তিনি অবৈধ অভিবাসন বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “যারা অবৈধভাবে আমাদের দেশে প্রবেশ করেছে, তারা লাখ লাখ অপরাধী। তাদের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।” ট্রাম্প জানান, সীমান্ত এলাকাগুলোতে আরও সৈনিক মোতায়েন করা হবে এবং জনবল বৃদ্ধি করা হবে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনার ঘোষণা দিয়েছেন। নির্বাহী আদেশে সই করার সময় তিনি বলেন, “এটি একটি বিশাল সিদ্ধান্ত। আমরা আমাদের নাগরিকত্ব নীতিকে আরও সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ করতে চাই।”

ট্রাম্প তার আলোচিত ‘রিমেইন ইন মেক্সিকো’ নীতি পুনরায় কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই নীতির আওতায় আশ্রয়প্রার্থী অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার আগে মেক্সিকোতেই অপেক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, “মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অবৈধ প্রবেশ বন্ধ করতেই এই নীতি কার্যকর করা হচ্ছে।”

নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ট্রাম্প তার পূর্বসূরি জো বাইডেন আমলে জারি করা ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেন। এই সিদ্ধান্তের মধ্যে অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং কর ব্যবস্থার মতো গুরুত্বপূর্ণ নীতিগুলোও রয়েছে।

স্থানীয় সময় সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় শপথ গ্রহণ করেন রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। শপথ অনুষ্ঠানের পরপরই তিনি ওভাল অফিসে ফিরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্বাহী আদেশে সই করেন। শপথ গ্রহণের দিনই কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার মাধ্যমে ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে অভিবাসন, সীমান্ত সুরক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এসব সিদ্ধান্ত অভিবাসন নীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন আনবে। তবে তার এসব পদক্ষেপ রাজনৈতিক বিরোধিতার মুখে পড়তে পারে।

দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিন থেকেই ট্রাম্প কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। সীমান্তে জরুরি অবস্থা, নাগরিকত্ব নীতিতে পরিবর্তন এবং বাইডেন আমলের নীতিগুলো বাতিলের মাধ্যমে তিনি তার দ্বিতীয় মেয়াদের লক্ষ্য পরিষ্কার করেছেন।





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert