ট্রাম্প বাতিল করলেন বাইডেন আমলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ
- By Jamini Roy --
- 21 January, 2025
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে তার শাসনামলের কার্যক্রম শুরু করেন। স্থানীয় সময় সোমবার (২০ জানুয়ারি) তিনি বাইডেন আমলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, শপথ গ্রহণের পরপরই ট্রাম্প এসব আদেশে সই করেন।
ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ওয়ান অ্যারেনার মঞ্চে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন ট্রাম্প। শপথ শেষে তিনি তার প্রথম ভাষণে ঘোষণা দেন, শিগগিরই বাইডেন প্রশাসনের সব নির্বাহী আদেশ বাতিল করা হবে। ভাষণে ট্রাম্প তার প্রশাসনের মূলনীতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার দিকনির্দেশনা দেন।
ট্রাম্প তার নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করে বাইডেন আমলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেন। এই আদেশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে যাওয়া: তিনি প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে আনেন।
- মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত আদেশ: মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবিলায় একটি নতুন নির্বাহী আদেশে সই করেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প জনতার উদ্দেশ্যে এই নির্বাহী আদেশগুলো তুলে ধরেন, যা তাকে সমর্থনকারীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস তৈরি করে।
বাইডেন তার মেয়াদের শেষ মুহূর্তে রেকর্ডসংখ্যক ব্যক্তিকে ক্ষমা করেন। সিএনএন জানিয়েছে, ক্ষমা পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন বাইডেনের পরিবারের সদস্যরা, যেমন তার দুই ভাই জেমস ও ফ্রাঙ্ক বাইডেন, বোন ভ্যালেরি বাইডেন এবং তাদের স্বামী-স্ত্রীরা।
বাইডেনের এই ক্ষমার পেছনে শঙ্কা ছিল, নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন। মার্কিন ইতিহাসে এত বেশি সংখ্যক ব্যক্তিকে ক্ষমা করার ঘটনা নজিরবিহীন।
নিজের প্রথম ভাষণে ট্রাম্প স্পষ্ট করেন যে, বাইডেনের ক্ষমা আদেশসহ আরও অনেক সিদ্ধান্ত তিনি বাতিল করবেন। বাইডেন প্রশাসনের সিদ্ধান্তগুলোর বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপগুলো ট্রাম্পের নতুন শাসনামলের দৃঢ় নীতিরই প্রতিফলন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, তার প্রশাসনের লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রকে একটি শক্তিশালী, স্বনির্ভর এবং সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। নির্বাহী আদেশ বাতিলের পাশাপাশি নতুন নীতিমালার মাধ্যমে তিনি দ্রুত দেশের অর্থনীতি ও সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার করতে চান।
ট্রাম্পের এই পদক্ষেপগুলো তাকে সমর্থনকারী অংশের মধ্যে উৎসাহ জাগালেও বাইডেন প্রশাসনের নীতির পক্ষে থাকা অংশে হতাশার সৃষ্টি করেছে। এখন দেখার বিষয়, ট্রাম্পের নতুন প্রশাসন কতটা কার্যকরভাবে তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারে।