জাপানী প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাৎ: বেকারত্ব কমানো ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য ঘোষণা

আজ রবিবার(৬ অক্টোবর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিস কক্ষে বাংলাদেশে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুছি তোমোহিদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, “বেকারত্ব কমানোই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য।”

ইচিগুছি তোমোহিদ বাংলাদেশকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে একটি সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং জানান, “বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ভালো চাকরির সুযোগ নেই, তাই আমরা নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি করতে চাই।” তিনি ১০০০ তথ্যপ্রযুক্তি প্রকৌশলীকে প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা করেন, যা দেশের তরুণদের জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম যোগ করেন, “কর্মসংস্থান সৃষ্টি আমাদের প্রধান লক্ষ্য, কারণ এ কারণে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল।” তিনি জাইকার যেকোনো বিনিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব থাকলে তা বিবেচনা করা হবে।”

এছাড়া, নাহিদ ইসলাম বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জাপান এবং জাইকার কাছ থেকে আরও বেশি বিনিয়োগ প্রত্যাশা করে।”

ইচিগুছি তোমোহিদ বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। তিনি বলেন, “অবকাঠামো উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করতে চাই, কারণ বাংলাদেশ জাইকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিনিয়োগকারী দেশ।”

সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, জাইকা বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি কমোরি তাকাশি, প্রতিনিধি কুককামী মিনামি এবং জাইকা বিশেষজ্ঞ সোজি আকিহিরো।

বাংলাদেশে ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে বেসরকারি খাতকে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার চেষ্টা করছে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। নাহিদ ইসলাম বলেন, “তরুণদের মেধা বৃদ্ধিতে জাইকার সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ হবে।”