কানাডায় এয়ার কানাডার ফ্লাইটে আগুনের ঘটনা
- By Jamini Roy --
- 30 December, 2024
কানাডায় এয়ার কানাডার একটি ফ্লাইটে ত্রুটিপূর্ণ অবতরণের সময় ইঞ্জিনে আগুন ধরার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এপি ও আনাদোলু। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার রাতে, হ্যালিফ্যাক্স স্ট্যানফিল্ড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানটির ল্যান্ডিং গিয়ার সমস্যা হওয়ায় এটি একপাশে কাত হয়ে পড়ে এবং বিমানটির ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি এবং সব যাত্রীকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।
কানাডার জাতীয় বিমান সংস্থা এয়ার কানাডার ২২৫৯ ফ্লাইটটি সেন্ট জন’স আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়েছিল। অবতরণের সময় বিমানটির ল্যান্ডিং গিয়ারে সমস্যা দেখা দেয়, ফলে এটি কাত হয়ে পড়ে। বিমানের ডানাটির সঙ্গে রানওয়ের ঘষা লাগে এবং সঙ্গে সঙ্গেই আগুন ধরে যায়। পরিস্থিতি সংকটজনক হলেও, বিমানটি দ্রুত ছুটে চলতে থাকে এবং জরুরি ক্রুরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাত্রীদের নিরাপদে উদ্ধার করেন।
নিকি ভ্যালেন্টাইন নামে এক যাত্রী সিবিসি নিউজকে জানান, অবতরণের সময় প্লেনের একটি টায়ার ঠিকমতো কাজ করেনি, যার ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয় যেখানে দেখা যায়, বিমানটি রানওয়ে ধরে দ্রুত ছুটে চলেছে এবং আচমকা একপাশে কাত হয়ে গেছে, যার ফলে ডানার সঙ্গে রানওয়ের ঘর্ষণ ঘটে এবং আগুন ধরে যায়।
খবরে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটির বয়স প্রায় ২৪ বছর এবং এর ইঞ্জিনে প্রাট ও হুইটন মডেল ব্যবহার করা হয়েছে। এই ফ্লাইটটি এয়ার কানাডার সাথে চুক্তির আওতায় পাল এয়ারলাইন্স পরিচালনা করছিল। পাল এয়ারলাইন্স পূর্ব কানাডার দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান সংস্থা এবং এর সদর দপ্তর নিউফাউন্ডল্যান্ড ও ল্যাব্রাডরের সেন্ট জন’স বিমানবন্দরে অবস্থিত।
এ ঘটনায় বিমানটির রক্ষণাবেক্ষণ এবং আঞ্চলিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে দেখা হবে কীভাবে ল্যান্ডিং গিয়ারে সমস্যা হয়েছিল এবং জরুরি অবতরণের সময় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।
এই ঘটনাটি আবারও বিমান নিরাপত্তা এবং রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত উদ্বেগ উত্থাপন করেছে, বিশেষত দীর্ঘ সময় ব্যবহৃত বিমানগুলির ক্ষেত্রে।