আজারবাইজানের বিমান ভূপাতিত: রাশিয়ার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ
- By Jamini Roy --
- 30 December, 2024
আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমানকে রাশিয়া ভুলবশত ভূপাতিত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ। রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইলহাম আলিয়েভ বলেন, "দুর্ঘটনাবশত রাশিয়া বিমানটিকে গুলি করেছিল। এখানে কোনো ইচ্ছাকৃত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছিল না। তবে দোষ স্বীকার করে যথাসময়ে আমাদের কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং জনগণকে এ বিষয়ে অবহিত করা উচিত ছিল।"
গত ২৫ ডিসেম্বর আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়া অঞ্চলের রাজধানী গ্রোজনি যাওয়ার পথে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে ৬৭ জন আরোহী ছিলেন, যার মধ্যে ৩৮ জন প্রাণ হারান। যাত্রীদের মধ্যে বেশিরভাগই আজারবাইজানের নাগরিক হলেও রাশিয়া, কাজাখস্তান এবং কিরগিজস্তানের যাত্রীও ছিলেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পরে এই দুর্ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ক্রেমলিন থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়, "ইউক্রেনের ড্রোন হামলা প্রতিহত করার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।"
রুশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্রোজনি, মোজদোক এবং ভ্লাদিকাভাকাজে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা চলছিল। ওই সময় ভুলবশত ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে আজারবাইজানের বিমানটি ভূপাতিত হয়। তবে এই বিবৃতিতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের সরাসরি স্বীকারোক্তি দেয়া হয়নি।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রও দাবি করে যে, আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে।
এই দুর্ঘটনার পর থেকে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের বক্তব্যে রাশিয়ার উপর চাপ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশ রাশিয়ার দোষ স্বীকারের আহ্বান জানিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই দুর্ঘটনা রাশিয়া-আজারবাইজান সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলতে পারে। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার এমন দুর্ঘটনা তার কৌশলগত অবস্থানকে আরও দুর্বল করতে পারে।