দক্ষিণ কোরিয়ার ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনর্মূল্যায়নের নির্দেশ
- By Jamini Roy --
- 30 December, 2024
দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার পর দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং মোক জাতীয় উড়োজাহাজ ব্যবস্থার নিরাপত্তা পুনর্মূল্যায়নের নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে আসা জেজু এয়ারলাইন্সের বিমানটি ল্যান্ডিং গিয়ারের ত্রুটির কারণে চাকা ছাড়াই অবতরণ করতে গিয়ে রানওয়ের দেয়ালে ধাক্কা খায়। দুর্ঘটনার ফলে বিমানে আগুন ধরে যায়। এতে ১৮১ যাত্রীর মধ্যে ১৭৯ জন নিহত হন। শুধু দুইজন ক্রু প্রাণে বেঁচে যান।
এই দুর্ঘটনার পর সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সিউলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক এক বৈঠকে চোই সাং মোক বলেন, "নিহতদের স্বজনদের কাছে স্বচ্ছ তদন্তের তথ্য প্রকাশ করা হবে। পুনরুদ্ধারের কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উড়োজাহাজ পরিচালনা ব্যবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে নিরাপত্তা পর্যালোচনা করতে পরিবহন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।"
এ সময় তিনি আরও বলেন, "অন্তর্বর্তীকালীন তদন্তের ফলাফলের অপেক্ষায় না থেকে প্রয়োজনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
চোই সাং মোক দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন মাত্র তিন দিন আগে। সামরিক আইন প্রয়োগের কারণে অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের স্থলাভিষিক্ত হন প্রধানমন্ত্রী হান ডাক সু। তবে তার বিরুদ্ধে বিরোধী দলের আস্থা হারানোর কারণে নতুন করে অভিশংসন প্রস্তাব আসে। এরপর চোই সাং মোক ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন।
জেজু এয়ারলাইন্সের এই দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ল্যান্ডিং গিয়ারের যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা যাচ্ছে। দুর্ঘটনায় জরুরি অবতরণে বিমানের গতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। রানওয়ের দেয়ালে ধাক্কা লেগে সৃষ্ট আগুন পুরো বিমানটিকে গ্রাস করে। দুর্ঘটনার পরপরই তদন্ত শুরু হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় একটি স্বচ্ছ ও গভীর তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এই দুর্ঘটনা শুধু দক্ষিণ কোরিয়া নয়, বৈশ্বিক উড়োজাহাজ নিরাপত্তার ওপরও প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দুর্ঘটনার মূল কারণ হিসেবে যান্ত্রিক ত্রুটি ছাড়াও ব্যবস্থাপনায় গাফিলতি থাকতে পারে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দক্ষিণ কোরিয়া নতুন মানদণ্ড প্রণয়ন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।