বড়দিনে তারেক ও ফখরুলের শুভেচ্ছা: সম্প্রীতির বার্তা
- By Jamini Roy --
- 25 December, 2024
বড়দিন উপলক্ষে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো পৃথক বিবৃতিতে তারা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতি শুভেচ্ছা জানান।
তারেক রহমান তার বাণীতে বলেছেন, "বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। তাদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি।" তিনি আরও বলেন, "সত্যনিষ্ঠা, ন্যায়নীতি, শান্তি ও করুণার দিশারি মহান যিশুখ্রিস্টের এই দিনে পৃথিবীতে আগমন ঘটে। এটি খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র দিন। যিশুখ্রিস্ট এসেছিলেন মানবিক বন্ধনকে সুদৃঢ় করতে।"
তিনি উল্লেখ করেন, "বিশ্বের একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী যিশুখ্রিস্টের দর্শন ও শিক্ষার অনুসারী। সব ধর্মই শান্তি, সহাবস্থান ও মানবিকতার বাণী বহন করে। যুগে যুগে মহামানবরা মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করেছেন। অসত্যের বিনাশ ও নৈতিক উৎকর্ষতা অর্জন মানবজীবনে সুখময় পরিবেশ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যিশুখ্রিস্ট তার অনুসারীদের মানবপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করেছেন।"
তারেক রহমান আরও বলেন, "মানুষ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব সমাজের কল্যাণে কাজ করা। হিংসা, অসূয়া পরিহার করে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং সব ধরনের অবিচার-নির্মমতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য আমাদের অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে।"
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার বাণীতে বলেন, "মহামানবরা সর্বকালে মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে পরিচালিত করেছেন। সত্য ও ন্যায়ের পথে চলতে উৎসাহিত করেছেন। যিশুখ্রিস্টও তার অনুসারীদের অন্যায় পরিহার করে পরিশুদ্ধ জীবন গড়ার নির্দেশ দিয়েছেন।"
তিনি আরও বলেন, "যিশুখ্রিস্টের দেখানো পথে চললেই সহিংসতা, হানাহানি এড়িয়ে শান্তি নিশ্চিত করা সম্ভব। মহামানবদের প্রদর্শিত পথই সামগ্রিক কল্যাণ আনতে পারে। বড়দিন শুধুমাত্র একটি উৎসব নয়, এটি মানবিকতার বার্তা বহন করে।"
বিএনপি নেতাদের এই বার্তায় সম্প্রীতির আহ্বান ও যিশুখ্রিস্টের শিক্ষা অনুসরণের গুরুত্ব স্পষ্ট হয়ে ওঠে।