ইসরাইল-হামাস জিম্মি বিনিময়ের আলোচনা: ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু
- By Jamini Roy --
- 24 December, 2024
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ইসরাইলের পার্লামেন্ট নেসেটের অধিবেশনে জিম্মি বিনিময়ের বিষয়ে কিছুটা অগ্রগতির ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন, গাজায় হামাসের সঙ্গে জিম্মি মুক্তির আলোচনা কিছুটা এগিয়ে চলেছে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, এই আলোচনা সম্পর্কে তিনি সব কিছু প্রকাশ করতে পারবেন না, কিন্তু পার্লামেন্টে তিনি জানান, "আমরা সব পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিচ্ছি।"
নেতানিয়াহু জানান, হামাসের সঙ্গে আলোচনা শুরু হওয়ার পেছনে মূলত তিনটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, হামাসের সাবেক রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যু, দ্বিতীয়ত, ইরান এবং হিজবুল্লাহর কাছ থেকে প্রত্যাশিত সমর্থন না পাওয়া এবং তৃতীয়ত, গাজায় ইসরাইলের চলমান সামরিক অভিযান। তিনি বলেন, "এখনই আমি নিশ্চিত হতে পারি না এই অবস্থান কতদিন থাকবে, তবে যতদিন না সব জিম্মি শত্রু এলাকা থেকে মুক্তি পাচ্ছে, ততদিন হামলা অব্যাহত থাকবে।"
তবে ইসরাইলের সামরিক ও রাজনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, হামাসের সঙ্গে দুই পর্বের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য তেল আবিব দৃঢ়ভাবে চেষ্টা করছে। এই চুক্তির প্রথম পর্বে হামাস নারী, বয়স্ক এবং আহত জিম্মিদের মুক্তি দেবে। দ্বিতীয় পর্বে বাকি জিম্মিদের মুক্তির পর যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন হবে এবং গাজা থেকে ইসরাইলি সেনাদের প্রত্যাহার করা হবে।
একজন জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা সম্প্রতি বিবিসি-কে জানিয়েছেন, ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। তিনি জানান, যুদ্ধবিরতি আলোচনা প্রায় ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে, যদিও কিছু মূল বিষয় এখনও আলোচনার বাইরে রয়েছে।
অধিকাংশ প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিশরের সীমান্ত বরাবর দক্ষিণ গাজার কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ ফিলাডেলফি করিডোরে ইসরাইলি সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখা একটি প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অঞ্চলটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ইসরাইল এই এলাকাটি নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানান, যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে গাজার সঙ্গে ইসরাইলের সীমান্তে একটি বাফার জোন তৈরি করার সম্ভাবনা রয়েছে, যেখানে ইসরাইল সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখবে।
যত দ্রুত এই সমস্যাগুলোর সমাধান হবে, তত দ্রুত তিন ধাপের যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন হতে পারে এবং এভাবে গাজায় শান্তির পথে একটি বড় পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে।