Logo

আন্তর্জাতিক    >>   ইরানের ড্রোনবাহী রণতরী ‘শহীদ বাঘেরি’

ইরানের ড্রোনবাহী রণতরী ‘শহীদ বাঘেরি’

ইরানের ড্রোনবাহী রণতরী ‘শহীদ বাঘেরি’

ইরান এবার ড্রোনবাহী রণতরী তৈরি করে তা সাগরে নামানোর মাধ্যমে সামরিক শক্তিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। দেশটির সামরিক ইতিহাসে এটি এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। রণতরীটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘শহীদ বাঘেরি’, যা ইরানের আত্মনির্ভরশীল প্রতিরক্ষা শিল্পের সক্ষমতা প্রকাশ করছে।

গত বছরের শুরুতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি-র নৌ বিভাগের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আলী রেজা তাঙ্গসিরি ঘোষণা দিয়েছিলেন, শিগগিরই ড্রোনবাহী জাহাজ উন্মোচন করা হবে। এবার সেই ঘোষণা বাস্তবায়ন হয়েছে। সম্প্রতি ড্রোনবাহী এই রণতরী পারস্য উপসাগরের ইরানি নৌবন্দর বন্দর আব্বাসের উপকূলে দেখা গেছে।

তাঙ্গসিরি জানান, শহীদ বাঘেরি জাহাজটি ইরানের প্রতিরক্ষা শিল্পের আধুনিক প্রযুক্তির প্রতিফলন। এই জাহাজ রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম। এছাড়া এতে ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, এটি দেখতে অনেকটা বিমানবাহী রণতরীর মতো হলেও মূলত এটি ড্রোন ওঠানামার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।

বিশ্ব গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, শহীদ বাঘেরি মূলত একটি কন্টেইনার জাহাজকে রূপান্তরিত করে তৈরি করা হয়েছে। এটি রণতরী এবং ড্রোন প্ল্যাটফর্ম উভয় ক্ষেত্রেই কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঙ্গসিরি আরও জানান, রণতরীটি ইরানের সামরিক কৌশলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পারস্য উপসাগরের মতো কৌশলগত এলাকাগুলোতে এই ড্রোনবাহী রণতরী ইরানের সামরিক অবস্থানকে শক্তিশালী করবে।

‘শহীদ বাঘেরি’র উন্মোচন ইরানের প্রতিরক্ষা শিল্পে আত্মনির্ভরশীলতার একটি প্রমাণ। ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির সফল সমন্বয় তাদের সামরিক শক্তির বহুমুখী সক্ষমতা নিশ্চিত করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই উদ্যোগ ইরানের সামরিক কৌশলগত অবস্থানকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবে।

ইরানের নতুন ড্রোনবাহী রণতরীর উন্মোচন শুধু তাদের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নয়, বরং পারস্য উপসাগরসহ মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক ভারসাম্যে প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert