Logo

আন্তর্জাতিক    >>   দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট দ্বিতীয়বার অভিশংসন ভোটের মুখে

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট দ্বিতীয়বার অভিশংসন ভোটের মুখে

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট দ্বিতীয়বার অভিশংসন ভোটের মুখে

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতি এখন চরম উত্তেজনায়। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসন ভোটের সম্মুখীন হতে যাচ্ছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় পরিষদে এই ভোট অনুষ্ঠিত হবে। প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড, বিশেষত আকস্মিক সামরিক আইন জারি, দেশজুড়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।

গত ৩ ডিসেম্বর ইউন সুক ইওল আকস্মিকভাবে দেশে সামরিক আইন জারি করেন। এই পদক্ষেপ বিরোধী দলগুলো এবং সাধারণ মানুষের তীব্র প্রতিক্রিয়া ও বিক্ষোভের জন্ম দেয়। ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক চাপের মুখে পিছু হটেন ক্ষমতাসীন দল পিপল পাওয়ার পার্টির এই নেতা। তবুও সামরিক শাসন জারির প্রভাব দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিকে নাড়া দিয়েছে। বিরোধী দলগুলো দাবি করেছে, এই পদক্ষেপ সংবিধান লঙ্ঘনের শামিল।

এর আগে ৭ ডিসেম্বর জাতীয় পরিষদে অভিশংসনের জন্য ভোট অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের সদস্যদের বয়কটের কারণে সেই প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়। সেদিন ১৯৫টি ভোট পড়েছিল, যা মোট সংসদ সদস্যের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় কোটার চেয়ে কম।

বর্তমান পরিস্থিতিতে, আজকের ভোট পাস করতে হলে দুই-তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন। এর মানে, বিরোধী দলের পাশাপাশি শাসক দলের অন্তত আটজন এমপিকে ইওলের বিপক্ষে ভোট দিতে হবে। রয়টার্স জানিয়েছে, শাসক দলের অন্তত সাতজন এমপি অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রস্তাব পাস হলে প্রেসিডেন্ট ইওল কার্যত তার কর্তৃত্ব হারাবেন। তবে সাংবিধানিক আদালত তাকে অপসারণ বা পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত তিনি দায়িত্বে থাকবেন। এই সময় প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন। যদি আদালত ইওলকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয় বা তিনি পদত্যাগ করেন, তবে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ইউন সুক ইওল ২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। সেসময় ওয়াশিংটনসহ অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো তাকে স্বাগত জানায়। তবে তার শাসনামলে সমালোচনা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। বিরোধী দলগুলো তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছে, যার মধ্যে রয়েছে ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বৈরতান্ত্রিক নীতি গ্রহণ এবং সংবিধান লঙ্ঘন।

রয়টার্স আরও জানিয়েছে, আজকের অভিশংসন ভোটের আগে বিরোধী দলগুলো বড় ধরনের বিক্ষোভের আয়োজন করেছে। দুপুর ৪টায় ভোটগ্রহণের আগে এই বিক্ষোভ সরকারবিরোধী চাপ আরও বাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert