Logo

আন্তর্জাতিক    >>   গাজায় প্রাণঘাতী হামলা

গাজায় প্রাণঘাতী হামলা

গাজায় প্রাণঘাতী হামলা

মধ্য গাজায় হামাসের এক কমান্ডারসহ বেশ কয়েকজনকে হত্যার দাবি করেছে ইসরাইলি বাহিনী। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর অভিযানের কেন্দ্রবিন্দু ছিল গাজার জাবালিয়া ও নুসেইরাত শরণার্থী শিবির। এই এলাকায় গত কয়েকদিনের নিরবচ্ছিন্ন বোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অসংখ্য ফিলিস্তিনি। বৃহস্পতিবারের হামলায় নিহতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র।

ইসরাইলের হামলা থামার কোনো লক্ষণ নেই। এই পরিস্থিতিতে গাজার খাদ্য সহায়তা নিয়ে যাওয়া বেশ কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মীও নিহত হয়েছেন। এর ফলে মানবিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।

এদিকে, ইসরাইলি বাহিনী গাজা সিটির প্রাণকেন্দ্র রেমাল ও সাবরা এলাকা থেকে দ্রুত সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু বাসিন্দাদের জন্য এ নির্দেশ মানা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কারণ, গাজার অন্যান্য অঞ্চলও ইতোমধ্যে বাস্তুচ্যুত মানুষে ভরে গেছে। নিরাপদ স্থানের অভাবে স্থানীয় জনগণের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এর মধ্যেই ইসরাইল সফরে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, গাজায় জিম্মি মুক্তির শর্তে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, সদ্য নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টাইম ম্যাগাজিনের সাক্ষাৎকারে বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ থামানোর চেয়ে গাজা পরিস্থিতি শান্ত করা সহজ।

গাজার পাশাপাশি লেবাননের বৈরুতে হিজবুল্লাহ নেতাকে লক্ষ্য করে হামলার দাবি করেছে ইসরাইলি বাহিনী। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মতে, ওই ব্যক্তি তাদের বেসামরিক নাগরিকদের জন্য হুমকি ছিলেন।

এছাড়া, লেবাননের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, দেশটির খিয়াম অঞ্চলে ইসরাইলি বিমান হামলায় কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। তবে হিজবুল্লাহ প্রধান এ ধরনের হামলার জবাব না দিয়ে বিষয়টি লেবাননের সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন।

যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করে ইসরাইল প্রতিদিনই নতুন করে হামলা চালাচ্ছে। এদিকে, আন্তর্জাতিক মহলের চাপ বাড়লেও পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার কোনো ইঙ্গিত নেই। গাজার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে, যা বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert