পাকিস্তানের শর্ত সাপেক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের পরিকল্পনা
- By Jamini Roy --
- 01 December, 2024
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনে সম্মতি দিতে যাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে, এ সিদ্ধান্ত একেবারে সহজ নয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) প্রভাবশালী সদস্য হিসেবে ভারত ও তাদের রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে পিসিবি বাধ্য হয়েছে হাইব্রিড মডেলে রাজি হতে। তবুও পিসিবি শর্ত জুড়ে দিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার চেষ্টা করছে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) আইসিসির সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। বৈঠকের বদলে, পিসিবি আরো সময় নিয়ে সোমবার (২ ডিসেম্বর) চূড়ান্ত আলোচনায় বসতে চায়। বোর্ড চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি নেতৃত্বে থাকা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পরিকল্পনা, সব সদস্য দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে নতুন প্রস্তাবনা তুলে ধরা।
ভারতের বিপক্ষে সরাসরি লড়াইয়ে জয়লাভ করতে না পেরে, পিসিবি হাইব্রিড মডেল মেনে নিয়েছে। কারণ, আইসিসি প্রয়োজনে পাকিস্তানকে বাদ দিয়েই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করতে পারে। এত বড় আর্থিক ও ক্রীড়াভিত্তিক ক্ষতি এড়াতে পাকিস্তান এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।
তবে, হাইব্রিড মডেল মেনে নিলেও পিসিবি বেশ কিছু শর্ত আইসিসির সামনে তুলে ধরছে:
- ভারত-পাকিস্তান সফর নিয়ে সমতা: ভারত যদি পাকিস্তানে না আসে, তাহলে ভবিষ্যৎ টুর্নামেন্টে পাকিস্তানও ভারতে যাবে না। এ অবস্থানটি ২০২৬ টি-২০ বিশ্বকাপ, ২০২৯ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, এবং ২০৩১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে নতুন জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে।
- সেমিফাইনাল ও ফাইনাল আয়োজন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল ও ফাইনাল নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা রয়েছে। ভারত যদি ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছে যায়, তবে সেই ম্যাচ পাকিস্তানের বাইরে আয়োজন করতে চায় পিসিবি। তবে ভারত সেমিফাইনালে বাদ পড়লে, ফাইনাল পাকিস্তানেই হবে।
- টিকিট বিক্রি ও রাজস্ব ভাগাভাগি: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনে টিকিট বিক্রি এবং আয় ভাগাভাগি নিয়ে বিশেষ দাবি করেছে পাকিস্তান।
এদিকে, ১ ডিসেম্বর আইসিসির নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন ভারতের জয় শাহ। তার নেতৃত্বে পাকিস্তানের কূটনৈতিক অবস্থান আরও দুর্বল হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, পিসিবির এই অবস্থান পুরোপুরি অগ্রাহ্য করাও আইসিসির জন্য সহজ নয়। পাকিস্তান ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডার হওয়ায়, তাদের বাদ দেওয়া বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
বর্তমানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ পুরোপুরি পাকিস্তানের ওপর নির্ভর করছে। আইসিসি অপেক্ষা করছে পাকিস্তানের প্রস্তাবিত বৈঠকের। সোমবার অনুষ্ঠিতব্য এই বৈঠকে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা পরিষ্কার হতে পারে।