Logo

আন্তর্জাতিক    >>   লেবাননে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে সেনা ও হিজবুল্লাহর সমন্বয়

লেবাননে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে সেনা ও হিজবুল্লাহর সমন্বয়

লেবাননে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে সেনা ও হিজবুল্লাহর সমন্বয়

ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর করার জন্য লেবাননের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে হিজবুল্লাহ। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) লেবাননের টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে হিজবুল্লাহর মহাসচিব নাঈম কাসেম এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। এটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর তার প্রথম জনসমক্ষে বক্তব্য।

গত বুধবার (২৭ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ইসরায়েলকে দক্ষিণ লেবানন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। একই সময়সীমায় হিজবুল্লাহও তাদের যোদ্ধাদের সরিয়ে নেবে। দুই পক্ষের মধ্যে কোনো হামলা না চালানোর অঙ্গীকার রয়েছে।

নাঈম কাসেম বলেন, "আমরা লেবাননের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করতে এবং যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কাজ করব। লেবাননের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমাদের কোনো মতানৈক্য নেই।"

তিনি আরও জানান, দক্ষিণ লেবাননে সেনা মোতায়েন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের জন্য হিজবুল্লাহর যোদ্ধা এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে সমন্বয়ের কাজ উচ্চ পর্যায়ে সম্পন্ন হবে। এর মধ্যে সেনা মোতায়েন-সংক্রান্ত একটি বিস্তারিত পরিকল্পনা লেবাননের মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হবে।

যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর প্রথম বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ নিজেদের "জয়ী" বলে আখ্যায়িত করেছে। তবে তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সবসময় প্রস্তুত থাকার কথাও বলেছে।

নাঈম কাসেমের মতে, "যদি ইসরায়েল ফের হামলা চালায়, তবে আমরা উপযুক্ত জবাব দিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।"

নিরাপত্তা সূত্র মতে, ইতোমধ্যে লেবাননের সেনাবাহিনী দক্ষিণাঞ্চলে কিছু এলাকা দখল নিয়েছে। সশস্ত্র সংঘাতের এক বছরেরও বেশি সময় পর এই চুক্তি দুই পক্ষের জন্য শান্তি স্থাপনে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকরের এই প্রচেষ্টা লেবাননের সেনাবাহিনী ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সমন্বয়ের একটি নতুন অধ্যায় তৈরি করেছে। এটি দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও সুসংগঠিত করার পাশাপাশি আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে।